রতুয়া: পঞ্চায়েত ভোটের আগে থামছে না বোমা উদ্ধারের ধারা। এবার মালদার রতুয়ায় উদ্ধার হল ৪০টি বোমা। স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে রতুয়া-১ এর চাঁদমনি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুপুর গ্রামে ধানখেতের মধ্যে বোমা বাঁধা হচ্ছিল৷ বিষয়টি দেখতে পেয়ে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। সামসী পুলিশ ফাঁড়ি ও রতুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছোলে তাদের দেখতে পেয়ে গা ঢাকা দেয় দুষ্কৃতীরা৷ গোটা রাত এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ৷ বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে পৌঁছায় বম্ব স্কোয়াড৷ এরপর বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এতগুলি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
জানা গিয়েছে, চাঁদমনি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রার্থী শেখ ইব্রাহিমের বাড়ির পিছনে রয়েছে ওই ধানখেত৷ বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে সেই খেত থেকে উদ্ধার হয়েছে কৌটো বোমা৷ শুধু বোমাই নয়, সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে বোমা তৈরির মশলাও৷ উদ্ধার হওয়া কৌটো বোমাগুলির মধ্যে আটটি সম্পূর্ণ তৈরি, ৩২টি তৈরির শেষ পর্যায়ে ছিল৷
উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস বারুদের স্তূপ তৈরি করেছে। রাজ্যকে বোমা, গুলির শিল্প বানিয়েছে। বেকার যুবকদের চাকরির বদলে তাদের হাতে বোমা এবং পিস্তল ধরিয়েছে। সেইসব যুবকদের অল্প টাকা ও বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে বোমা তৈরির কাজে লাগাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ ব্যর্থ। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বাড়িতে বোমা তৈরির কারখানা রয়েছে। পুলিশ সবকিছু জেনেও চুপ। এরা মানুষকে কী নিরাপত্তা দেবে?
ওই এলাকার ২৬ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মহম্মদ হেসামুদ্দিনের অভিযোগ, ভোট ঘোষণার পর তৃণমূল চাঁদমনির দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে দুষ্কৃতীদের ডেরা করে তুলেছে৷ আজ তারই নমুনা পাওয়া গেল৷ এর পিছনে ওদের উপরতলার নেতারাও রয়েছে৷ রাজ্যের শাসকদলের বড় গুণ্ডারা এখন ছোটদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে৷ তবে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতা মহম্মদ আবদুল তোয়াব বলেন, ‘যে বা যারাই এই কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছি৷ এলাকায় কোনও অশান্তি আমরা চাই না৷’