কলকাতা: কেন্দ্রের কাছে আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল, ২০১৩-র চেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। আদালতের বক্তব্য়, ১০ বছর আগে একাধিক দফায় ভোট হয়েছিল। এবার মাত্র এক দফায় ভোট। সেকারণে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বেশি বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পর্যাপ্ত বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে আবেদন জানানোরও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশ মোতাবেক বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের কাছে ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
গত কয়েকদিন ধরে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে চলেছে আইনি লড়াই। গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছিল। মনোনয়ন পর্বে ভাঙর, ক্যানিং সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে যেভাবে অশান্তি হয়েছে, তা দেখে বিরোধীদের প্রশ্ন ছিল, মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে কি শান্তিপূর্ণ ভোট করা সম্ভব হবে?
১০ বছর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল খোদ কমিশন। মীরা পাণ্ডে ছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। সেই বছর রাজ্যে ৮২৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছিল কমিশন। ২০১৩ সালে পাঁচ দফায় ভোট হয়েছিল। এবার ভোট হচ্ছে এক দফায়। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবার রাজ্যে ৬১ হাজার ৬৩৬ টি বুথে পঞ্চায়েত নির্বাচন আয়োজিত হবে। ফলে প্রশ্ন ওঠে, মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে কীভাবে শান্তিপূর্ণ ভোট করা যাবে?
এরপর বুধবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ কড়া ভাবেই জানায়, ২০১৩-র চেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এবার পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে। আগেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন ২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছিল। এবার আদালতের নির্দেশ মেনে আরও ৮০০ অর্থাৎ মোট ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হল।