উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা। নাম দুর্গেশ ওয়াত্তি। কুখ্যাত এই মাওবাদী জঙ্গি ছিলেন ডেপুটি কমান্ডার। ২০১৯ সালে জাম্বুলখেড়া ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণকাণ্ডে হাত ছিল দুর্গেশের। সেই বিস্ফোরণে প্রাণ হারয়েছিলেন ১৪ জন নিরাপত্তারক্ষী। এবার নিরাপত্তারক্ষীরাই নিকেশ করে দিলেন এই কুখ্যাত মাওনেতা দুর্গেশকে। মহারাষ্ট্র-ছত্তিশগড় সীমান্তে বোধিনতলার গভীর জঙ্গলে কমান্ডোদের ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ হারায় মাওনেতা।
গোপনসূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার ভারতীয় সেনার কমান্ডোরা হানা দেয় মহারাষ্ট্র-ছত্তিশগড় সীমান্তে বোধিনতলার গভীর জঙ্গলে। গড়চিরোলির এসপি কমান্ডোদের জঙ্গলে পাঠান। দুপুর দেড়টা নাগাদ এই এনকাউন্টার শুরু হয়। এদিকে সিআরপিএফকেও রাখা হয়েছিল ব্যাক আপের জন্য। গভীর জঙ্গলে মাওবাদীরা ক্যাম্প করে থাকছিল। সেখানেই হানা দেন কমান্ডোরা। পুরো জঙ্গল ঘিরে ফেলে কমান্ডোবাহিনী। এরপরই বিপদ বুঝে নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পালটা গুলি চালায় কমান্ডোরাও। প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে চলে এই এনকাউন্টার। আর এই গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারায় তিন মাও নেতা। আপাতত ১জনের দেহ উদ্ধার হলেও বাকি দুই জনের দেহ উদ্ধারে সমর্থ হয়নি নিরাপত্তাবাহিনী। জঙ্গল জুড়ে চলছে জোর তল্লাশি।
জানা গিয়েছে, এদিনের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে কুখ্যাত মাওজঙ্গি দুর্গেশের। দুর্গেশের মাথার দাম ছিল ৮ লাখ টাকা। কিন্তু দিনের পর দিন ধরে তিনি গভীর জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতেন বলে খবর। এই দুর্গেশ মাওবাদীদের নেতৃত্ব দিতেন। ২০২১ সালের পর থেকে সংগঠনের রাশ ধরেন দুর্গেশ। পুলিশের অনুমান, ছত্তিশগড় থেকে ওরা মহারাষ্ট্রের গভীর জঙ্গলে ক্যাম্প করেছিল ওরা। সঙ্গে ছিল আধুনিক অস্ত্র। কিন্তু তার আগেই নিকেশ করল কমান্ডো বাহিনী। তবে দুর্গেশের মৃত্যুর পরে ওই এলাকায় মাওবাদীরা অনেকটাই শক্তি হারাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ওই এলাকা থেকে এক ৪৭, অত্যাধুনিক বন্দুক, ওয়াকি টকি, ভোল্টমিটার, বিস্ফোরক মিলেছে।