সোনাপুর: চিলাপাতায় মনের মানুষ পিকনিক স্পটের কাছে বানিয়া নদীতে সেতু হবার পর থেকেই কালচিনি-আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের যোগাযোগের জন্য অন্য রাস্তা খুলে গিয়েছিল। জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে না গিয়ে এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতেন অনেকেই। সেই যোগাযোগ এবার বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বানিয়া সেতুর দুই দিক ক্ষতিগ্রস্ত। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সেতুর দুই দিক বসে যাচ্ছে। এই সময়ে সেটায় নজর না দিলে সেতুর দুই দিকের অংশ ভেঙে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতাধীন ওই সেতুর দু’দিকের অংশ দ্রুত সংস্কারের দাবি উঠেছে। চিলাপাতায় বানিয়া নদীর উপর ওই সেতু তৈরি হয়েছিল ২০১৫ সালে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর ওই সেতু তৈরি করেছিল। স্থানীয়রা জানান, বছর খানেক আগে থেকেই সেতুর এক মাথায় সড়ক এবং সেতুর সংযোগ স্থলে ভাঙন দেখা যায়। সেদিক দিয়ে জল যেতে যেতেই সেতুর এক পাশের অংশ ক্ষতি হয়। আরেক পাশের অংশও এই সপ্তাহেই অনেকটা বসে গিয়েছে। ওই সেতু দিয়ে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের বাসিন্দা মেন্দাবাড়ি হয়ে হাইরোড ধরে কালচিনি ব্লকের যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন। রাতে কালচিনি যেতে হলে সোনাপুর-গুরুদুয়ার রাজ্য সড়ক ধরে জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে না গিয়ে, অনেকেই বিকল্প রাস্তা হিসেবে বানিয়া নদীর ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন।
দুই ব্লকের সাধারণ মানুষদেরই শুধু নয় সেতুর ক্ষতি হলে পর্যটকদেরও বড় সমস্যা হবে বলে মত চিলাপাতার স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের। এবিষয়ে চিলাপাতা ইকো ট্যুরিজম সোসাইটির সভাপতি গণেশ চন্দ্র শার বক্তব্য, ‘চিলাপাতা থেকে যে পর্যটকরা জয়ন্তী বক্সা যায় তারা এই সেতু দিয়ে সহজে যেতে পারে। সেতু দিয়ে যাতায়াত বন্ধ হলে পর্যটকদের প্রচুর হয়রানি হবে। বিষয়টি বিভিন্ন প্রশাসনিক স্তরে জানানো হয়েছে।’ মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক চিক বড়াইক বলেন, ‘এটা আমার জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’ সেতু দুর্বল হওয়ায় আপাতত ওই সেতু দিতে বড় গাড়ি যেতে দিচ্ছে না স্থানীয়রাই।