জলপাইগুড়ি: পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল যুব’র জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের খোঁজে পোস্টার পড়ল জলপাইগুড়িতে। শনিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি থানা মোড় সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই মর্মে পোস্টার সাঁটিয়ে দেন যুব কংগ্রেস কর্মীরা। যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি নব্যেন্দু মৌলিক বলেন, ‘জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান আত্মহত্যায় প্ররোচনায় অভিযুক্ত। তাঁর জামিন নাকচ হওয়ায় তিনি নিখোঁজ। আমরা জানি ভাইস চেয়ারম্যান বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা সংক্রান্ত দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত। তাঁকে বোর্ডে রেখে চেয়ারপার্সন কীভাবে বোর্ড চালাবেন, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত। তাঁকে গ্রেপ্তার না করা হলে আগামীতে বড়সড়ো আন্দোলন হবে।’
তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর ও জলপাইগুড়ি টাউন ব্লক প্রেসিডেন্ট তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সৈকত চট্টোপাধ্যায় এখনও আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ আছে তাঁর। এই মুহূর্তে তিনি না থাকায় জলপাইগুড়ি পুরসভার নাগরিক পরিষেবা সহ আমরা সকলে মিলে চালাব। দেশের শীর্ষ আদালতের রায় আসবার পর দেখা যাবে কী করা যায়।’
গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা সমাজসেবী দম্পত্তির রহস্যমৃত্যু হয়। বাড়ি থেকেই মিলেছিল সুইসাইড নোট। তাতে তৃণমূল যুব’র জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ মোট চারজনের নাম ছিল। বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই ও ভাই বৌ ছিলেন ওই দম্পতি। পরবর্তীতে ওই চারজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার হন তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ সহ দু’জন।
এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন করেন সৈকত। শুক্রবার জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চ সৈকতের আগাম জামিন নামঞ্জুর করে। জামিন নাকচ হতেই তৎপর হয় পুলিশ। অভিযুক্ত সৈকতকে গ্রেপ্তার করতে তাঁর বাড়ি সহ সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। কিন্তু শনিবার বিকেল পর্যন্ত তিনি অধরা। এদিকে উপ পৌরপিতা নিখোঁজ, তার সন্ধান চাই, গতকাল বিকেলে জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই মর্মে পোস্টার সাঁটিয়ে দেন যুব কংগ্রেস কর্মীরা।