বর্ধমানঃ সাবান সহযোগে হাঁড়িতে ফুটল (Soap boiled in rice) বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের (Burdwan University) হস্টেলে ছাত্রদের খাবারের ভাত। শুধু ফোটাই নয়, সাবানের ফেনায় উপচে পড়ল ভাতের হাঁড়ি। তা দেখে রবিবার চোখ কপালে উঠে যায় ছাত্রদের। এরপর হাঁড়িতে সিদ্ধ হওয়া ভাত ছাঁকা হতেই বেরিয়ে আসে সাবান। তা দেখে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ হস্টেলের শতাধিক ছাত্র ক্ষোভে ফেটে পড়তেই হস্টেলের রান্নাঘর ছেড়ে বেপাত্তা হয়ে যায় রাঁধুনীরা। এনিয়ে ছাত্ররা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোনও ব্যবস্থা গৃহীত না হওয়ায় এদিন দুপুরের ছাত্রদের খাওয়া কার্যত লাটে ওঠে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ হস্টেলে আবাসিকের সংখ্যা ১১০। সেই হোস্টেলের ছাত্রদের খাবার রান্নার জন্য নিযুক্ত একজন রাঁধুনি ও একজন সহকারী। কিন্তু বেশিরভাগ দিনই একজনের বেশি আসেনা। ছাত্রদের অভিযোগ, এদিন দুপুরে খাওয়ার ভাত যখন হস্টেলের রান্নাঘরে রান্না হচ্ছিল তখন ভাতে প্রচুর পরিমাণে ফেনা দেখা যাচ্ছিল। এরপর ভাত ছাঁকার সময় ভাতের হাঁড়ি থেকে সাবান মেলে। রাঁধুনি তা দেখে আবাসিকদের জানান,“এই ভাত না খাওয়াই ভাল। এই ভাত খেলে শরীর অসুস্থ হতে পারে”। রাঁধুনী এই কথা বললেও হস্টেলের ছাত্রদের জন্যে নতুন করে আর ভাত রান্না না করেই রাঁধুনি ও তাঁর হেল্পার হষ্টেল ছেড়ে পালিয়ে যায় আবাসিকদের জন্য নতুন করে রান্না না করেই। বিষয়টি তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের ফোনে জানান। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। সেই কারণে অরবিন্দ হষ্টেলের প্লেসমেন্ট অফিসার চন্দন চৌধুরী হোষ্টেলে পৌঁছালে তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্ররা।
প্লেসমেন্ট অফিসার চন্দন চৌধুরী জানান, “তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন”। আর রাঁধুনি নিমাই ঘোষাল বলেন, “ভাত ছাকার সময় সাবান দেখতে পাই। তাই ওই ভাত খাওয়া যাবে না বলে আমি ছাত্রদের জানিয়েছিলাম”। তবে পুনরায় ভাত রান্না না করে চলে যাবার বিষয়টি রাঁধুনী স্বীকার করে নেন।