মালবাজার : মাল শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লির তত্ত্বাবধায়কের কাজ করেন আমীরা মাহাতো (৫২)। কর্মস্থলের অদূরেই তাঁর বাড়ি। শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ শবদাহের কাজ শেষ করে বাড়িতেই ফিরছিলেন। হঠাৎ করে যেন শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে গেল। চোখের সামনে দাঁড়িয়ে প্রকাণ্ড এক দাঁতাল। শুঁড় দিয়ে তাঁকে বাড়ি দিয়ে রাস্তার ধারে ফেলে দেয় হাতিটি। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না আমীরা। এরপরে বুনোটি শুঁড় তুলে আওয়াজ করে গজেন্দ্রগমনে মাল শহরের ক্যালটেক্স মোড়ের দিকে এগিয়ে যায়।
নতুন বছরে একবার নয় কার্যত দু’বার মাল শহরে দলছুট বুনো হাতির ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটল। শহরে এভাবে ক্রমাগত হাতি চলে আসায় মাল শহর বুনো দলছুট হাতিদের করিডরে পরিণত হচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠছে। বর্তমানে আমীরা মাহাতো মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
শহরে বুনো দাঁতাল চলে আসার ঘটনার খবর পেয়ে মালবাজার বন্যপ্রাণ স্কোয়াডের কর্মীরাও দ্রুতই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। বনদপ্তর সূত্রে খবর, হাতিটি সোনগাছি চা বাগানের বাটাইগোল ডিভিশনে মঙ্গরা ওরাওঁয়ের ঘর ভেঙে মাল নদী পেরিয়ে শহরে ঢুকে পড়ে। মহাকাল পাড়া, ক্যালটেক্স মোড় ঘুরে ফের মাল নদী পেরিয়ে চা বাগানে চলে যায়। রাতেই সেটিকে বুড়িখোলা বনাঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।