বর্ধমান: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সাসপেন্ড করা হল ১২ নিরাপত্তাকর্মীকে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের লহর থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। বর্ধমান থানার পুলিশ ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেলেও প্রহরীদের নজর এড়িয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ওই মহিলা কিভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ১২ জন অস্থায়ী নিরাপত্তাকর্মীকে আপাতত কাজ থেকে সরিয়ে দেন।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড: গৌতম চন্দ্র বৃহস্পতিবার বলেন, ‘পুলিশি তদন্তে যাই বের হোক, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আমরাও খতিয়ে দেখতে চাই কর্তব্যে কোনও গাফিলতি ছিল কিনা। তাই একটা ‘বার্তা’ দেওয়ার জন্য গতকাল ১২ জন নিরাপত্তাকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’ জানা গিয়েছে, সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিও’তে এক মহিলাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। এই ছবির সঙ্গে মূল ঘটনার কোনও সংযোগ না থাকলেও একটা বার্তা দিতে এই পদক্ষেপ নিতে হল বলে জানান উপাচার্য।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের লহর থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এই ঘটনায় উপাচার্য জানিয়েছিলেন, যাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী বা পড়ুয়া কেউ নন। তবুও কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তার রহস্য পুলিশি তদন্তে উন্মোচন হওয়া বাকি রয়েছে। তারই মধ্যে এই পদক্ষেপ করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে আধিকারিক, অধ্যাপক থেকে কর্মচারীদের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁরা শাস্তির কোপে পড়লেন তাঁরা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী কর্মী। বিশ্ববিদ্যালয়ের কো-অপারেটিভের মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগ করা হয়। অন্যদিকে, ইউনিভার্সিটি কর্মচারী সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে মানবিকতার খাতিরে এই নিরাপত্তাকর্মীদের ভুল শুধরে আরও একবার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে উপাচার্যের কাছে অনুরোধ জানাবেন বলে জানিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি এও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে কোনওরকম আপোষ করা হবে না।