উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে কার্যকর হতে চলেছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। সূত্রের খবর, মার্চ মাসেই ভারত জুড়ে সিএএ (CAA) কার্যকর করতে পারে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। CAA নিয়ে যদিও গোড়া থেকেই বিতর্ক। বিতর্কিত এই আইনের আওতায় পড়শি দেশ পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের অমুসলিম সংঘ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষপাতী কেন্দ্র। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়িত করতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার একটি পোর্টালের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে বলে খবর। ওই পোর্টালের মাধ্যমেই পড়শি দেশের অমুসলিম নাগরিকরা ভারতের নাগরিকত্ব পেতে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন বলে জানা যাচ্ছে। (Lok Sabha Elections 2024)
২০১৯ সালে দেশের সংসদে সিএএ পাশ করায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, নথিপত্র ছাড়াই পড়শি দেশের নাগরিকরা আবেদন জানাতে পারবেন। দীর্ঘমেয়াদি ভিসার আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যে পাকিস্তান থেকেই সর্বাধিক আবেদন জমা পড়েছে, যা নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রথম ধাপ। সেই সব আবেদন জেলা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গত দু’বছরে ন’রাজ্যের ৩০টি জেলার ম্যাজিস্ট্রেট এবং স্বরাষ্ট্রসচিবদের পড়শি দেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ১৪১৪ জনকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করা হয়।