উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনে জিতে এক বছর হয়নি হিমাচল প্রদেশে সরকার গড়েছে কংগ্রেস। আর লোকসভা নির্বাচনের আগেই হিমাচল হতে পারে কংগ্রেসের হাতছাড়া। মঙ্গলবার তারই আভাস পাওয়া গেল রাজ্যসভা নির্বাচনে (Rajya Sabha Elections 2024)। এদিন রাজ্যসভা নির্বাচনের তৎপরতা তুঙ্গে, ঠিক সেই সময়ই হিমাচলে কংগ্রেস (Congress) বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রহরায় ছয় কংগ্রেস বিধায়ককে হরিয়ানায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে বিজেপি।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার এমনিতেই রাজ্যসভা নির্বাচনের ভোটাভুটি চলাকালীন, কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি-সহ বেশ কিছু বিরোধী দল থেকে ভোট বিজেপি চলে গিয়েছে বলে খবর রটে। আর এই কারণেই হিমাচলপ্রদেশ নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু এদিন অভিযোগ করে বলেন, বিজেপি হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। (Himachal Pradesh Assembly)
যদিও বিজেপি ইতিমধ্যেই দাবি করেছে, হিমাচলে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে বলেও জানায় তারা। রাজ্যসভার ভোটাভুটিতেও তাদের সপক্ষে ছয় কংগ্রেস বিধায়ক এবং তিন নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে ইঙ্গিত দেয় বিজেপি। এরপরই হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের হাতছাড়া হওয়ার জল্পনা তৈরি হয়।
মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর (Chief Minister Sukhwinder Singh Sukhu) অভিযোগ, রাজ্যসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার আগেই বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় হরিয়ানায় তুলে নিয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের পাঁচ-ছ’জন বিধায়ককে। তাঁদের রাখা হয়েছে সে রাজ্যের পঞ্চকুলার একটি রিসর্টে। যাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি আমরা। তাঁদেরকেও বলছি, বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। চিন্তার কোনও কারণ নেই। বিধানসভার অধিবেশনে দেখব কোন দিকে যাচ্ছে পরিস্থিতি।”
রাজ্যসভায় কংগ্রসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির হার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেউ যদি বিবেকবোধ বিক্রি করে দিয়ে থাকেন তাহলে কিছু বলার নেই। ন’জনের ভোট হাতবদল হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিন জন নির্দল, কিন্তু আমাদের ছয় জন বিবেকবোধ বিক্রি করে দিয়েছেন, সিঙ্ঘভির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।”
হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ৬৮। কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ৪০। তিন নির্দল বিধায়কের সমর্থনও ছিল। অন্য দিকে, বিজেপি জয়ী হয় ২৫টি আসনে। তাই ন’জনের সমর্থন হারালে কংগ্রেসের শক্তি ৩১-এ নেমে যাবে। বিজেপির দাঁড়াবে ৩৪। ম্যাজিক সংখ্যা ৩৫। বিজেপির প্রয়োজন আরও একটি আসন। এক জনের সমর্থন আদায় বিজেপির পক্ষে সহজ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।