কলকাতা: চলতি বছরের ১ এপ্রিল বর্ধমানের শক্তিগড়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে বিজেপি নেতা কয়লা কারবারী রাজু ঝাকে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় এবার সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৪ মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারকে নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
বুধবার বিচারপতি বলেন, খুনের সময় গাড়িতে থাকা আরেক ব্যক্তি আবদুল লতিফ কয়লা পাচারে অভিযুক্ত। তাঁর নাম সিবিআইয়ের চার্জশিটেও রয়েছে। আদালত মনে করছে এই খুন ও কয়লা পাচার একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে রাজু ঝা খুনে ১২ সদস্যের সিট গঠন করা হয়। দুর্গাপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটির বাসিন্দা অভিজিৎ মণ্ডলকে। এরপর, গত মাসে আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করে সিট। অভিযোগ, গত ১ এপ্রিল শক্তিগড়ে যে গাড়িতে বসে থাকার সময় রাজু দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়, ওই গাড়িতে আব্দুল লতিফ ছিলেন। পরে তিনি বেপাত্তা হয়ে যান, যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। খুনের নেপথ্যে কী সমীকরণ রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।