শিলিগুড়ি: এ যেন নতুনের মোড়কে পুরোনো। একদিকে পরিচিত পর্যটনকেন্দ্রের নতুন অজানা দিক তুলে ধরার প্রয়াস। অন্যদিকে, ঐতিহ্যকেও সমানভাবে ধরে রাখা। চতুর্থ বর্ষ বেঙ্গল হিমালয়ান কার্নিভালে এবার এটাই থিম। কার্নিভালের জায়গা হিসেবে লাটাগুড়ি, ঝালং ও মিরিককে বেছে নিল হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (এইচএইচটিডিএন)। পর্যটন দপ্তরের সহযোগিতায় তিনদিনের কার্নিভাল ১ মার্চ শুক্রবার লাটাগুড়িতে শুরু হয়ে রবিবার শেষ হবে মিরিকে।
লাটাগুড়ি এবং ঝালংয়ে একদিন করে কার্নিভাল চললেও ১ তারিখ থেকে তিনদিনই কার্নিভাল চলবে মিরিকে। কার্নিভালে এবার নতুন সংযোজন, ইউটিউবার, ট্রাভেল ও ফুড ব্লগারদের উপস্থিতি। সেইসঙ্গে থাকবেন ভিনরাজ্যের কয়েকজন ট্যুর অপারেটর এবং পর্যটন সাহিত্যিক। এভাবেই পুরোনো পর্যটনকেন্দ্রগুলির ওপর নতুন করে আলো ফেলতে চাইছে এইচএইচটিডিএন।
সংগঠনের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘ডুয়ার্সকে পর্যটনের ক্ষেত্রে পথ দেখিয়েছে লাটাগুড়ি। তাই লাটাগুড়িকে কেন্দ্র করে ডুয়ার্সকে তুলে ধরা হবে। পর্যটনকে শিল্পের মর্যাদা এনে দেওয়ার পাশাপাশি ঝালং এবং মিরিকের অবদান অনস্বীকার্য। তাই এই তিনটি জায়গাকে বেছে নেওয়া।’ আগামীবছর থেকে দিন নির্দিষ্ট করে প্রতিবছর ওই দিনগুলিতে কার্নিভাল করা হবে বলে জানান পর্যটন ব্যবসায়ী রাজ বসু।
ব্যবসায়ীর বক্তব্য, ‘একটা সময় এখানকার হিমালয়কে অনেকেই ধর্তব্যের মধ্যে আনতেন না। কিন্তু কার্নিভালের জন্য এখন হিমালয়ের টানে অনেকেই এই অঞ্চলে বেড়াতে আসছেন। তাই করোনাকালের ক্ষতিপূরণ অনেকটাই সম্ভব হয়েছে।’ এবারের কার্নিভালের পর এই এলাকাগুলিতে পর্যটকদের আনাগোনা আরও বেড়ে যাবে বলে আশাবাদী এইচএইচটিডিএন। উৎসবকে নতুন মাত্রা দিতে প্রত্যেকদিন স্থানীয় সংস্কৃতি, ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরা হবে। স্থানীয় খাবারের স্টলও রাখা হবে। হর্স রাইডার, সাইক্লিস্টরা মিরিকের উৎসবে অংশ নেবেন বলে জানান মিরিক প্রশাসনের তরফে উপস্থিত কৃষি দপ্তরের সহকারী অধিকর্তা বিভূতি রিজেল। উৎসবকে কেন্দ্র করে লাটাগুড়ির ম্যালকে সাজিয়ে তোলার কথা জানান লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী সম্পাদক সৌম্যজিৎ সরকার।