উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এ বার সিবি আই হানা এক বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে। সোমবার সকালে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিয়েছে রানাঘাটের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। এই বিজেপি বিধায়ক রানাঘাট পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন। পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে এবারে বিজেপি বিধায়কের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। নিয়োগ দুর্নীতিতে এই প্রথম কোনও বিজেপি নেতার নাম জড়াল। যদিও কী কারণে তাঁর নাম পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িয়েছে, তা এখনও সরকারি ভাবে জানায়নি সিবিআই।
পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে এর আগে একের পর এক তৃণমূল নেতা মন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে। বেশ কয়েকমাস আগেই নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে রয়েছে অয়ন শীল। এই মামলায় রবিবারই রাজ্যের ন’জন নেতা-মন্ত্রীর বাড়ি সহ মোট ১২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। সিবিআই হানা দিয়েছিল রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে। এই মামলায় শুরু থেকেই শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে। সে দিক থেকে পার্থসারথির বাড়িতে সিবিআই হানা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, রানাঘাটের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় টানা ২৫ বছর রানাঘাট পুরসভার পুরপ্রধান পদে ছিলেন। এই সময়কালের প্রথম ১৫ বছর তিনি ছিলেন কংগ্রেসের হয়ে, পরের ১০ বছর ছিলেন তৃণমূলের হয়ে। পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় শেষ মাস ছয়েক পুর প্রশাসন বোর্ডের সভাপতি পদেও ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রে। পরবর্তীতে তৃণমূল ছেড়ে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। ২০১৬ সালে তিনি তৃণমূলের টিকিটে দাড়িয়েও বিধানসভায় হেরে যান কংগ্রেসের শঙ্কর সিংহের কাছে।
২০২১ সালে ভোটের আগ মুহূর্তে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়াদের সঙ্গে চার্টার্ড বিমানে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন পার্থসারথি। বিধানসভা ভোটে রানাঘাটেই পার্থসারথিকে প্রার্থী করে বিজেপি। তিনি জিতেও যান। রবিবারই এই মামলায় রাজ্যের ন’জন নেতা-মন্ত্রীর ঠিকানা মিলিয়ে মোট ১২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। আর আজ সিবি আই তল্লাশি চালাচ্ছে বিজেপি বিধায়কের বাড়ি।