উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাথমিকে ওএমআর শিটকাণ্ডে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির অফিসে তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই। মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই সংস্থার অফিস, গোডাউন, এমনকি কর্তা কৌশিক মাজি এবং তাঁর কর্মীদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট দেখে নম্বর দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কালীঘাটের সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে। সংস্থারই কর্তা কৌশিক মাজিকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। পরে তিনি সিবিআইয়ের কলকাতার দপ্তরে হাজির হন। তাঁকে ওএমআর শিট নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় এদিন হাওড়ার দাসনগর সহ পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছে সিবিআই। সকালে হাওড়ার দাসনগর থানার অন্তর্গত আলামোহন দাস রোডে অভিযান চলে। তদন্তকারী সংস্থার আটজন আধিকারিক তল্লাশি চালান সংস্থার কর্তা কৌশিকের ফ্ল্যাটে।
এই মামলার তদন্তকারী হিসাবে সিবিআইয়ের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। টেটের ওএমআর শিট সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল তাঁর এজলাসে। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, ওএমআর শিটের ‘ডিজিটাইজড ডেটা’য় অনেক ভুল রয়েছে। আদালতে ওএমআর শিটের তথ্য বলে যে নথি পেশ করা হয়েছে, তা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ, ওএমআর শিটের ডিজিটাইজড ডেটা বলতে যা বোঝায়, তা আসলে ওএমআর শিটের স্ক্যান করা কপি। কিন্তু এক্ষেত্রে পর্ষদ আদালতে যা পেশ করেছে, তা টাইপ করা তথ্য। আর সেই তথ্যে প্রশ্ন-উত্তরের অনেক বিকল্পেও ভুল রয়েছে। মামলাকারীর এই বক্তব্য শোনার পরই তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তিনি জানতে চান, কীভাবে এই ফাঁকি থেকে গেল? এমনকি, অভিযুক্তদের যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করার দরকার ছিল, তাও সিবিআই করেনি বলে অভিযোগ করেন বিচারপতি।
বুধবার এব্যাপারে সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেই বিচারপতি বলেছিলেন, ‘সিবিআই তো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নই করেনি। কী প্রশ্ন করবে সেটাও কি আমাকে বলে দিতে হবে? আপনাদের কাজ কি মানুষকে বোকা বানানো? এর চেয়ে উলুবেড়িয়া থানাকে কেসটা দিলে ভালো হত!’ সেই ভর্ৎসনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট দেখার দায়িত্বে থাকা সংস্থার কর্তাকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।