আলিপুরদুয়ার: সজনে ডাঁটা, আলু, বেগুন ও বড়ি দিয়ে পাতলা ঝোল কিংবা আলু, কাঁচকলা, উচ্ছে, বেগুন দিয়ে সজনে ডাঁটার শুক্তো অথবা সজনে ডাঁটার সর্ষে-পোস্ত-এই খাবারগুলির সঙ্গে আপামর বাঙালির পরিচিতি আছে। কিন্তু পঞ্জাবের সুরিন্দর সিং, ঝাড়খণ্ডের যশ পান্ডে অথবা বিহারের রাজেশ কুমার। তাঁদের কাছে সজনে ডাঁটার স্বাদ অবশ্য একেবারেই নতুন। আর হবে নাই বা কেন! বাঙালি এলাকায় যখন ডিউটি পড়েছে তখন বাঙালি খাবার থেকে কি আর দূরে থাকা যায়। সুরিন্দর, রাজেশ প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ভোটের ডিউটিতে আইটিবিপি’র এই জওয়ানরা এখন আলিপুরদুয়ারে ঘাঁটি গেড়েছেন। তাঁদের ক্যাম্পেই এখন প্রায়দিনই রান্না হচ্ছে সুস্বাদু সজনে ডাঁটা সহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। এই শাকসবজিই এখন চেটেপুটে খাচ্ছেন জওয়ানরা।
আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পরিচালনার জন্য এবার ৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসেছেন। এর মধ্যে আইটিবিপি’র ১ কোম্পানি বাহিনীকে রাখা হয়েছে আলিপুরদুয়ার শহরের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। জওয়ানদের মধ্যে ২ জন রাঁধুনি, একজন সাফাইকর্মী, একজন ধোপা ও একজন নাপিত রয়েছেন। সকলে মিলে ৮৬ জনের কোম্পানি। কোম্পানি কমান্ডান্ট হিসেবে আছেন সুরিন্দর।
পলিটেকনিকের সামনেই রয়েছে বাজার। এখন ভোর থেকে এই বাজারেই ভিড় করছেন জওয়ানরা। একেবারে বেছে বেছে তাঁরা টাটকা শাকসবজি কিনছেন। বিশেষ করে সজনে ডাঁটা, লাল ডাঁটা শাক, পাট শাক সহ নানা ধরনের সবজি।
আলিপুরদুয়ারের এই ক্যাম্পে রান্নার দায়িত্বে রয়েছেন বিহারের বাসিন্দা রাজেশ কুমার। তাঁর হাতেই এখন বাংলার নিজস্ব সজনে ডাঁটা এবং অন্য শাকসবজি সুস্বাদু হয়ে উঠেছে। টাটকা রান্না করা সবজিতেই এখন মজেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই জওয়ানরা।
সুরিন্দর বলেন, ‘এখানে টাটকা সবজি পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে সজনে ডাঁটা এবং অন্য সবজিগুলিও ছেলেরা ভালো খাচ্ছে। এখন নিরামিষ ও আমিষ দু’ধরনের খাবারের সঙ্গেই সজনে ডাঁটা ও অন্য শাক রান্না হচ্ছে।’
রান্নার দায়িত্বে থাকা জওয়ান রাজেশ কুমারের কথায়, রোজ মেনু চার্ট মেনেই রান্না করা হয়। তবে আলিপুরদুয়ারে কিছুদিন ধরে সজনে ডাঁটা এবং বিভিন্ন ধরনের শাকও রান্না করছি। এগুলো খেতেও খুব স্বাদ। জওয়ানরা চেটেপুটেই খাচ্ছেন।