নাগরাকাটা: কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক নেই। আদিবাসী বন্ধু বলে গোটা দেশে যদি একজনও নেতা-নেত্রী থাকেন তবে সেটা দিদিই। তাই এবার লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করছে অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। ইতিমধ্যে জোরকদমে সংগঠনের তরফে প্রচারও শুরু হয়েছে। এর জন্য এপ্রিলের গোড়াতে ডুয়ার্সে আসছেন পরিষদের রাজ্য সভাপতি বিরসা তিরকি। তিনি বলেন, ‘বিকাশ পরিষদ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি সংগঠন। তবে দিদি আদিবাসীদের যা দিয়েছেন তা এককথায় ঐতিহাসিক। এজন্য তাঁকে সমর্থন ছাড়া অন্য কিছু আমাদের ভাবনাতেই নেই।’
সম্প্রতি কলকাতায় অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সংগঠনের শীর্ষ নেতারা দিদির হয়ে সাওয়াল করেন বলে জানা গিয়েছে। এরপরই সংগঠনের তরফে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১১ সালের পর বিকাশ পরিষদে ভাঙন ধরলে সেসময় থেকে সংগঠনটির পাশে রয়েছেন মমতা। যদিও পরিষদের আক্ষেপ গোর্খাল্যান্ড বিরোধী আন্দোলনে নেমে ডুয়ার্স তরাইয়ের বহু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের নামে বিভিন্ন থানায় সেসময় মামলা দায়ের হয়। সেগুলি এখনও রাজ্যের তরফে প্রত্যাহার করা হয়নি। বিরসার কথায়, ‘গোর্খা সম্প্রদায়দের মামলাগুলি তুলে নেওয়া হয়। আদিবাসীদের মামলাগুলিও দিদি প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর কোনও দোষ নেই। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় কাজটি এখনও এগোয়নি। নির্বাচনের পর বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর পদক্ষেপ করুক এটাই আমরা চাই।’
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর দিদি তাঁদের করমপুজো, হুল দিবস, স্বাধীনতা সংগ্রামী বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তীর ছুটি দিয়েছেন। বাড়ি বানানোর টাকা সমেত চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা মিলেছে। আদিবাসীদের জয় জোহর পেনশন দিয়েছেন।