নাগরাকাটা: উত্তরবঙ্গে মোট চা উৎপাদনের শতকরা ৬৩ শতাংশই আসছে তাঁদের কাছ থেকে। রাজ্যওয়াড়ি নিরিখে এটাই সর্বোচ্চ। যদিও জলবায়ুর পরিবর্তন, কাঁচা পাতার ক্রেতা বটলিফ ও বড় ফ্যাক্টরিগুলির বিমাতৃসুলভ আচরণ ও সরকারী অবহেলা এই ত্রিফলায় বিদ্ধ হয়ে বর্তমানে ক্ষুদ্র চা চাষিদের টিকে থাকাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রবিবার লাটাগুড়ির একটি বেসরকারী রিসর্টে আয়োজিত জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এমনই অভিযোগ উঠে আসলো জোরালো কন্ঠে।
অবিলম্বে প্রাইস শেয়ারিং ফর্মূলার স্টাডি রিপোর্ট পেশ করে সুসংহত উপায়ে কাঁচা পাতার ন্যয্য দাম নির্ধারনের নীতি তৈরির ওপর জোর দেন ক্ষুদ্র চাষিরা। সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সম্পাদক বিজয় গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘পাতার দাম নির্ধারনের বিজ্ঞানসন্মত নীতি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ক্ষুদ্র চা চাষের সমস্যা দূর হওয়ার নয়। বর্তমানে মিনিমাম বেঞ্চমার্ক প্রাইস, ডিস্ট্রিক্ট গ্রীন লিফ প্রাইস মনিটারিং কমিটি থাকলেও সেগুলির অস্তিত্ব শুধু খাতায় কলমেই। যে কারণে চা চাষিদের অভাবী বিক্রি কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। আশা করছি কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারই উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হয়ে ওঠা ক্ষুদ্র চা চাষকে টিকিয়ে রাখতে তাঁদের দিক থেকে যা করণীয় তা করবে।’