শিলিগুড়ি: শান্তিনগরে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নাম জড়াল নিউ জলপাইগুড়ি এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ রায়ের। রবিবার রাতের দিকে দায়ের হওয়া অভিযোগে মৃতার স্বামী সাধন সরকার এই খুনের পেছনে প্রসেনজিৎ রায়ই দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন।
বলা হয়েছে, শিলিগুড়ির শিবমন্দির এলাকায় এক মহিলার জমি কেনার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা অগ্রিম দেন টুকটাক প্রমোটারির কাজ করা সাধন। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ রায় প্রভাব খাটিয়ে অন্য এক ব্যক্তির নামে ওই জমি লিখিয়ে নেন। সাধনবাবুর স্ত্রী লতাদেবী প্রসেনজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করতেই রোষের মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। আশিঘর ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়েরের পর সাধন সরকারের দাবি, তাঁর স্ত্রী-র মৃত্যুর জন্য দায়ী প্রসেনজিৎ রায় সহ আরও কয়েকজন। অনেকদিন থেকেই প্রসেনজিৎ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর পরিবারকে বিরক্ত করছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। ভয় পেয়ে তাঁর স্ত্রী মেয়েকে মেরে নিজে আত্মঘাতী হয়েছে। প্রায় একই দাবি করেছেন সাধন সরকারের পরিবার ও আত্মীয়দের অনেকেই।
যদিও অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ রায় অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘অনেকদিন আগে সাধনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ থাকলেও গত আট-নয মাস থেকে কোন সংযোগই ছিল না। আমি যদি ফোনে হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকি সেটার প্রমাণ থাকবে। বাড়িতে লোক পাঠালে প্রতিবেশিরা দেখে থাকবে, পারলে কোনও প্রমাণ দেখাক। অন্য কোন বিষয়কে আমার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।’