বালুরঘাটঃ তিন বছরের শিশুসন্তানকে মাঠে শুয়ে রেখেই সরিষা তোলার কাজ করছিলেন দম্পতি। কিছুক্ষণ বাদে তাঁরা দেখেন সেখানে নেই তাঁদের ছেলে। পড়ে খোঁজ করতেই তাঁরা দেখেন শিশুটি পড়ে রয়েছে পুকুরের জলে। বাঁচানো যায়নি শিশুটিকে। বুধবার বিকেলে এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল তপন ব্লকের আউটিনা গ্রাম পঞ্চায়েতের এরেন্দা এলাকায়। অনুমান করা হচ্ছে খেলতে খেলতে পুকুরের জলে পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে শিশুটি। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম রনজয় বিশ্বাস(৩)। বাবা মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস পেশায় কৃষক। মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসের এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। রনজয় ছোট। মাঠে সরিষা তোলার জন্য কয়েক দিন ধরে কাজ করছেন মৃত্যুঞ্জয়বাবু। আজ দুপুরে স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে সরিষা গোটানোর কাজ করছিলেন। এদিকে কোলের সন্তানকে বাড়িতে কোথায় রাখবেন ভেবে না পেয়ে নিয়ে চলে যান মাঠেই৷ সেখানেই তাকে ঘুম পারিয়ে সরিষা গোটানোর কাজ শুরু করেন। এদিকে কাজ শুরুর কিছু পরে দেখেন ছেলে শুয়ে নেই। এরপরই চারিদিক খোঁজাখুঁজি শুরু করেন দম্পতি। কোথাও খুঁজে না পেয়ে রাস্তার পাশে পুকুরে খোঁজাখুঁজি করার সময় দেখেন পুকুরের জলে ডুবে রয়েছে তিন বছরের রনজয়। বিষয়টি নজরে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে রনজয়কে জল থেকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যান বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এবিষয়ে মৃতের কাকু সুজিত বিশ্বাস বলেন, আজ দুপুরে রনজয়কে মাঠে শুয়ে রেখে সরিষা গোটানোর কাজ করছিলেন দাদা-বৌদি। তখন খেলতে খেলতে পুকুরের জলে পড়ে যায়। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলেও শেষ রক্ষা হয়নি। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। শিশুর দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।