মণীন্দ্রনারায়ণ সিংহ, আলিপুরদুয়ার: এ যেন পঞ্চায়েত ভোটেরই পুনরাবৃত্তি। ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেলেও এখনও কোন্দলের ছায়া কাটছে না তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে। শনিবার সকালে যেখানে প্রচার করে গেলেন সৌরভ চক্রবর্তী (Sourav Chakraborty), দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়রা। বিকেলে সেখানে আলাদা প্রচার করলেন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল (Suman Kanjilal)। বর্তমান ও প্রাক্তন বিধায়ককে তাঁদের অনুগামীরা ঘিরে থাকলেও সবাই দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে একসঙ্গে মিলিত না হওয়ায় চিন্তিত শাসকদলের নীচুতলার নেতা-কর্মীরা। দলের আলোচনা, দুই শিবিরের নেতাদের ‘ইগোর’ লড়াই চলতে থাকলে, তাতে মুনাফা লুটতে পারে বিরোধীরা। যদিও বর্তমান ও প্রাক্তন বিধায়ক দুজনেরই বক্তব্য, কোথাও কোনও বিরোধ নেই। দলের প্রার্থীকে জেতাতে দুজনেই প্রার্থীর হয়ে প্রচার শুরু করছেন।
শহরে শাসকদলের ভোট প্রচার কে, কখন, কোথায়, করছেন, তা জানতে পারছেন না শাসকদলের অনেক নেতা-কর্মী। শাসকদলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারের জন্য রবিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে টাউন ব্লক সভাপতি একটি নির্বাচনি প্রস্তুতি সভা ডেকেছেন। সেখানে দলের ওয়ার্ড সভাপতি, কাউন্সিলার, টাউন ব্লক কমিটির সদস্য জেলা নেতৃত্বকে উপস্থিত থাকতে বলেছেন। ওই সভাতেও শেষপর্যন্ত কারা থাকেন তা নিয়ে দলের অন্দরে একটা সন্দেহ ও সংশয় রয়েছে। টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্তর উদ্যোগে সকালের দিকে শহরের ভাঙ্গাপুল এলাকায় দেওয়াল লিখন ও প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে নেতাদের দেখা গিয়েছে। দীপ্ত, সৌরভ ঘনিষ্ঠরা সেখানে থাকলেও অন্য শিবিরের নেতা-কর্মীদের দেখা যায়নি। পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর বলেন, ‘আমাকে সেখানে যেতে বলা হয়েছিল কিন্তু আমি যেতে পারিনি।’ বিধায়ক সুমন এদিন সকালের দিকে শহরের বাইরে গ্রামীণ এলাকায় ভোটের প্রচারে ছিলেন। বিকেলে শহরের সুতলিপট্টি এলাকায় সেখানে দেওয়াল লিখন করেন। সৌরভ বলেন, ‘আমি শহরের সব ওয়ার্ডে গিয়ে ধারাবাহিকভাবে ভোট প্রচার করব।’ সুমনের কথায়, ‘আমাকে সব জায়গায় প্রচারে যেতে বলা হয়েছে।’
নেতারা কেউ বিরোধিতার কথা মুখে বলছেন না। প্রকাশ চিকবড়াইকের হয়ে দুজনে ভোট প্রচার শুরু করলেও বর্তমান ও প্রাক্তনকে লোকসভা ভোট প্রচারে একসঙ্গে মেলানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।