ফাঁসিদেওয়াঃ পাথর বোঝাই ডাম্পারের (Dumper) ধাক্কায় এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো ফাঁসিদেওয়া (Phansidewa) ব্লকের গঙ্গারাম চা বাগান সংলগ্ন এলাকায়। মঙ্গলবার সকাল নাগাদ চা-বাগানের আদিবাসী ২ কিশোর সাইকেলে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সেই সময় পাথর বোঝাই ডাম্পারের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক কিশোরের। অপর কিশোর গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
এরপরই, স্থানীয়রা ছাত্রের মৃতদেহ ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে রেখে অবরোধ (Road block) শুরু করে। অবরোধের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিশ। উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা পরিস্থিতি। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার উপক্রম হতেই অবরোধ স্থলে আসে বাগডোগরা থানার পুলিশ সহ পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। পরিস্থিতির মোকাবিলায় নামানো হয় র্যাফ।
পুলিশ অবরোধকারীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার আর্জি জানানো হয় বারবার। কিন্তু গ্রামবাসীরা ডাম্পার চালক ও মালিকের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রায় চার ঘন্টা ধরে জাতীয় সড়কে অবরোধ চালিয়ে যান। পুলিশ প্রশাসনের কথায় কর্ণপাত না করায় গ্রামবাসীদের জাতীয় সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। ছোড়া হয় বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস। পালটা গ্রামবাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাথর ছুড়তে শুরু করে। মুহূর্তে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। উন্মত্ত জনতার ছোড়া ইটের আঘাতে জখম হল বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। উন্মত্ত জনতার রোষে পড়ে পিছু হটে পুলিশ।
পরবর্তীতে বাগডোগরা থানার ওসি গ্রামবাসীদের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের উপর লিখিত আশ্বাস দেয়, চা বাগানের রাস্তায় বালি-পাথর বোঝাই ডাম্পার চলাচল করবে না, মৃত পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে প্রশাসন। সেই সঙ্গে পলাতক ডাম্পার চালক ও মালিকের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেওয়ার পরই অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। জাতীয় সড়কে টানা চার ঘণ্টা অবরোধ চলার ফলে দুপাশে দাঁড়িয়ে পড়ে শয়ে শয়ে গাড়ি। এদিন এই ঘটনার জেরে নাকাল হয়েছেন যাত্রীরা।