কলকাতা: বিস্ফোরণকাণ্ডের পর শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিস্ফোরণে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। এগরার পরে রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতেও যাবেন মমতা। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
এদিকে গতকাল মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চান, এগরার বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের তদন্ত কতদূর এগিয়েছে? পাশাপাশি জেলার গোয়েন্দা বিভাগকে আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পুলিশ সুপার তদন্তের সর্বশেষ পরিস্থিতির কথা জানান মুখ্যসচিবকে। বিভিন্ন জেলার প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যসচিব জানান, বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযানের পাশাপাশি এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিলে সাধারণ মানুষকে পুরস্কৃত করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য পরিবেশ দপ্তর এই পুরস্কার দেবে। বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে অভিযানে পুলিশ প্রশাসনকে পরিবেশ দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতেও নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
সম্প্রতি, এগরার খাদিকুল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু হয়। কিভাবে পুলিশের নজর এড়িয়ে ওই বেআইনি বাজি কারখনা চলছিল তা নিয়ে অনেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। ঘটনার দিনই তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়। যার বাজি কারখানায় এই বিস্ফোরণ হয় সেই ভানু বাগ জখম অবস্থায় ওডিশায় পালিয়ে যান। পরে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে পুলিশ ভানুর দুই সঙ্গী, তাঁর ছেলে এবং ভাইপোকে গ্রেপ্তার করেছে। এরই মধ্যে এগরা থানার আইসিকেও বদলি করা হয়।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ। কাশিয়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গাপ্রসাদ-আবুপাড়া গ্রামে পঞ্চায়েত সদস্য লাইলি বিবির বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। তাঁর বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। বোমা ফেটে জখম হন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে ও নাতি। এরপর ফের বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায়। সেখানেও বাজি কারখানায় জোরাল বিস্ফোরণ হয়। যার জেরে আগুন লাগে। আগুনে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। জখম হন বেশ কয়েকজন। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। এদিকে বিভিন্ন জায়গা থেকে এভাবে একের পর এক বিস্ফোরণের খবরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে।