উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার এক হাত যদি হয় হিন্দু তবে আরেক হাত মুসলমান…আমার একটা পা যদি হয় রাজবংশী আর একটা পায়ে আমি চলি তাদেরকে দেখে নমস্কার করি, সেটা হচ্ছে মতুয়া…’।’ এই বক্তব্যের পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। নানারকম কুৎসা করছে বিরোধীরা। রাজবংশী ইস্যু তুলে ধরে কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বুধবার এক সভা থেকে মমতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘রাজবংশীদের নিজের পায়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অত্যন্ত লজ্জাজনক। কোচবিহারবাসী এই অপমান মেনে নেবে না।‘
এবার এসব মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপিকে তুলোধনা করলেন। টুইট করে সপাট জবাব দিয়ে মমতা লিখেছেন, ‘রাজবংশী সম্প্রদায়কে কতটা সম্মান করি তা আমার উন্নয়নকার্যেই স্পষ্ট। বিশ্বাসঘাতকরা আমার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, একতার অপব্যাখ্যা করে জনগণের মনে ঘৃণা ঢোকাচ্ছে। সেই সব বিশ্বাসঘাতকদের জন্য আমার লজ্জা হয়।‘
অন্যদিকে, কুনাল ঘোষ টুইট করে লেখেন, ‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য পরিষ্কার ছিল। তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন যে অঙ্গগুলি যেমন আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, তেমনি রাজবংশীরা আমাদের বাংলার সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমনকি তিনি শ্রদ্ধার স্বরূপ তাদের পা স্পর্শ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। রাজবংশী সম্প্রদায়ের কল্যাণে তাঁর অটল অঙ্গীকার তার কাজের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়:
রাজবংশী উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক বোর্ড গঠন
রাষ্ট্রের সরকারী ভাষা হিসেবে রাজবংশীর স্বীকৃতি
পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং তার জন্মবার্ষিকীকে সরকারি ছুটি ঘোষণা।
বিজেপির মতো রাজনৈতিক দলগুলো, যারা সম্প্রদায়গুলিকে শুধুমাত্র ভোটব্যাংক হিসেবে দেখেন, তাদের উচিত সত্যকে মোচড় দেওয়া এবং রাজনৈতিক লাভের জন্য বিরোধ বপন করা বন্ধ করা।‘