বানারহাট: অপ্রাপ্তবয়স্কদের ঘর ভাড়া দেওয়ার পাশাপাশি দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগে বাসিন্দারা একটি বেসরকারি রিসর্টের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিলেন। রবিবার সকালে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাটে (Banarhat) ঘটনাটি ঘটে। কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। লোকসভা ভোটের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস টাকা চাওয়ার পর তা দেওয়া হয়েছিল বলে তারা জানিয়েছে। কিন্তু টাকার অঙ্ক মনমতো না হওয়ার কারণেই স্থানীয় কিছু বাসিন্দাকে নিয়ে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। ভোটের জন্য টাকা নেওয়ার বিষয়টি তৃণমূল মেনে নিয়েছে। তবে তারা ওই রিসর্টে (Resort) চলা বেআইনি কাজের বিরুদ্ধাচরণ করেছে।
যে রিসর্টটি নিয়ে অভিযোগ, সেটিতে বেশ ভিড় হয়। রবিবার সকালে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা রিসর্টটির গেট বন্ধ করে দেন। স্থানীয় বাসিন্দা মনোজ ছেত্রী বলেন, ‘এক বছর ধরে এখানে অপ্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি তরুণ–তরুণীদের কোনও রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই ঘণ্টার হিসাবে ঘর দেওয়া হয়। রিসর্টের আড়ালে এখানে দেহব্যবসার কারবার চলছে।’ এলাকাবাসী কৃষ্ণা ছেত্রী বললেন, ‘রিসর্টের আড়ালে চলা অবৈধ কারবার যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সেইজন্য স্থানীয়দের কাজ থেকেও বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই রিসর্ট সেচ দপ্তরের অধীনে থাকা প্রচুর সরকারি জমিও অবৈধভাবে দখল করেছে।’ এসব কারবার রুখতে তারা রিসর্টের গেটে তালা লাগিয়েছেন বলে কৃষ্ণা জানান।
রিসর্টের কর্ণধার শেখ জিয়াউর রহমান বলেন, ‘তৃণমূলের ঝান্ডা লাগিয়ে কিছু লোক এদিন রিসর্টের গেট বন্ধ করে দেয়। লোকসভা ভোটের কিছুদিন আগে নাগরাকাটা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রেম ছেত্রী ফোন করে ভোট–খরচের জন্য চাঁদা চান। আমি ব্লক সভাপতির হাতে ১০ হাজার টাকা ও অঞ্চল সভাপতি পৃথ্বীরাজ ছেত্রীকে আরও সাত হাজার টাকা দিয়েছিলাম। তবে, ওই টাকায় কাজ হবে না, আরও বেশি লাগবে বলে দাবি করে সেই টাকা তাঁরা ফিরিয়ে দেন। ফোনেই অঞ্চল সভাপতি আমাকে হুমকি দেন। এদিনই যে আমার রিসর্ট বন্ধ করা হবে সেটাও জানিয়েছিলেন।’ তাঁর রিসর্টের বিষয়ে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জিয়াউর জানান।
প্রেম ছেত্রী বলেন, ‘ভোটের খরচের প্রয়োজনে টাকা চাওয়া হয়েছিল। দলীয় কাজের জন্য টাকা চাওয়ায় অন্যায়ের কিছু নেই। রিসর্টের মালিক যে টাকা দিয়েছিলেন, দাবিমতো না হওয়ায় সেটা ফিরিয়ে দিয়েছি।’ রিসর্টটিতে দেহব্যবসা চলে বলে পৃথ্বীরাজ ছেত্রীর দাবি।