মাথাভাঙ্গা: কোচবিহারের (Cooch Behar) মাথাভাঙ্গা (Mathabhanga) শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিমপাড়ায় একটি বাড়িতে দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে প্রতিবেশীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। খবর পেয়ে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ (Mathabhanga police) ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ির গৃহকর্ত্রী সহ এক নাবালিকা এবং ওই বাড়ির ভাড়াটে এক তরুণকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অভিযুক্ত এক তরুণ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ পাল, মৃন্ময় দে, মহাবীর বোথরা, পারিজাত ব্রহ্মদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার একটি বাড়িতে দেহব্যবসা চালানো হচ্ছে। বাড়িতে ছোট ছোট কুঠুরি তৈরি করা হয়েছে। দেহব্যবসার জন্য সেই কুঠুরিগুলি ঘণ্টাপ্রতি চুক্তিতে ভাড়া দেওয়া হয়। বছর চারেক আগে ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর প্রতিবেশীরা তৎকালীন মাথাভাঙ্গা থানার আইসি, মহকুমা শাসক এবং পুর চেয়ারম্যানকে গণস্বাক্ষরিত স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। কিন্তু আজও ওই কারবার চলছেই। কাউন্সিলার প্রবীর সরকার বলেন, ‘এর আগেও একাধিকবার ওই বাড়িটিতে দেহব্যবসার অভিযোগ উঠেছিল।’ মাথাভাঙ্গা থানার আইসি হেমন্ত শর্মা বলেন, ‘বাড়ির মালিক এক মহিলা, এক নাবালিকা এবং বাড়িটির এক ভাড়াটে তরুণকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি নাবালিকার বাবা–মাকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।’
এলাকার বাসিন্দা দীনবন্ধু বর্মন বলেন, ‘প্রাতর্ভ্রমণ করার সময় ওই বাড়ির কাছে এক নাবালিকার হাত ধরে দুই তরুণ টানাটানি করছিল। আমি জিজ্ঞেস করাতে ওই দুই তরুণ জানায়, মেয়েটি তাদের বন্ধু। সন্দেহ হওয়ায় কয়েকজনকে ডাকতেই তারা ছুটে পালায়। মেয়েটি দৌড়ে গিয়ে কাছেই সুটুঙ্গা নদীর আব্বাসউদ্দিন সেতুর রেলিংয়ে উঠে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করলে এক টোটোচালক তাকে রেলিং থেকে টেনে নামান।’ ওই নাবালিকা জানায়, ওই তরুণদের মধ্যে একজন তাকে ওই বাড়িতে নিয়ে এসে রাত কাটায়। বাসিন্দারা পালিয়ে যাওয়া দুই তরুণের মধ্যে একজনকে আটক করেন। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে মূল অভিযুক্ত তরুণ পলাতক।