কালিয়াগঞ্জ: স্কুলের বিরুদ্ধে দুটি সরকারি গাছ কেটে মিড-ডে মিলের (Mid Day Meal) রান্নার কাঠ হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ তুললেন কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) বরুণা প্রাণপ্রীয়া বিদ্যাপীঠ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তবে পালটা অভিযোগ উঠেছে মিড ডে মিলের টাকার ভাগ না পেয়েই এই অভিযোগ প্রকাশ্যে এনে স্কুলকে অস্বস্তিতে ফেলতে চেয়েছেন স্কুলেরই এক সহকারী শিক্ষক।
অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দাদের নজর এড়িয়ে স্কুলের একটি পলাশ ও রাধাচূড়া গাছ কেটে ফেলছিলেন কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বরুণা অঞ্চলের বরুণা প্রাণপ্রীয়া বিদ্যাপীঠ কর্তৃপক্ষ। যদিও এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুশান্তকুমার সরকার বলেন, ‘স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়ে বড় দুটি পলাশ ও রাধাচূড়া গাছ কাটার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। ওই দুটি গাছ কাটার জন্য আমরা বন দপ্তর থেকে কোনও অনুমতি নেইনি। ওই দুটি গাছের জন্য বাগানে ছোট গাছগুলি ঠিক বেড়ে উঠছিল না। তাই এই সিদ্ধান্ত।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, ‘সব শিক্ষকরাই জানতেন যে কেন ওই দুটি গাছ কাটা হচ্ছে। যিনি অভিযোগ করেছেন, হয়ত তিনি মিড ডে মিলের টাকার টাকার ভাগ এখনও পাননি। তাই উনি বিষয়টি সরাসরি সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেছেন।’ এদিকে, বরুণা বিদ্যাপীঠের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জয়দেব সরকার বন দপ্তরকে জানানোর ব্যাপারটি নিয়ে যেন আকাশ থেকে পড়লেন। তাঁর কথায়, ‘স্কুলের গাছ কাটবো, সেখানে বন দপ্তরের জানানোর কি আছে। আমরা স্কুলের কত গাছ কাটি, কত গাছ লাগাই। স্কুলের সবার মিলিত উদ্যোগেই এই গাছ দুটি কাটা হয়েছে।’ এই প্রসঙ্গে কালিয়াগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত রায় বলেন, ‘খোঁজ খবর নিয়ে অবশ্যই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’