চ্যাংরাবান্ধা: কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে ট্রাক থেকে বছরের পর বছর ধরে টাকা তোলা হচ্ছে। নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার নাম করে প্রতিদিন প্রতিটি ট্রাক থেকে ১০০ টাকা করে এই তোলাবাজি হলেও পরিষেবার কোনও বালাই নেই। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে চ্যাংরাবান্ধা ট্রাক মালিক সমিতির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে সমিতি।
চ্যাংরাবান্ধা বাজারে ঢোকার যে রাস্তা, তা মেরামতির কাজ থমকে আছে। পাশাপাশি এখানকার একটা বড় সমস্যা ধুলো। এইসব নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার রাতে দুর্গামণ্ডপ প্রাঙ্গণে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকে ট্রাক মালিক সমিতির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি জোরালো হয়ে ওঠে।
সেখানে প্রকাশ্যে এনিয়ে সমিতির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বাজার এলাকার বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সুনির্মল গুহ বলেন, ‘এই সীমান্তে প্রতিদিন ট্রাক থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। সমিতি এই টাকা তুলে কী করছে? এতে প্রতি বছর ৫০ লক্ষেরও বেশি টাকা উঠছে।’ তাঁর অভিযোগ, সমিতির তরফে পথবাতি, ধুলো নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি পরিষেবা দেওয়ার কথা বলা হলেও তা মিলছে না। সুনির্মলের অভিযোগকে সমর্থন জানিয়ে আরও কয়েকজনের বক্তব্য, ট্রাক থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এনিয়ে তাঁরা আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
অন্যদিকে ট্রাক মালিক সমিতির সম্পাদক আব্দুল সামাদের কথায়, ‘আমরা বাইরের কোনও ট্রাক থেকে টাকা নিই না। সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে শুধু সদস্য ফি নেওয়া হয়। দুই-একজন সুবিধাবাদী মানুষ আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে বদনাম করার চেষ্টা করছেন।’
তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সহ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত সরকার বলেন, ‘ট্রাক থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। প্রতিমাসে কয়েক লক্ষ টাকা আদায় হচ্ছে। কিন্তু সেই টাকার হিসেব কেউ জানতে পারছে না। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।’
ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য জাকির হোসেন হলেন, ‘কিছু মানুষ টাকা তুলছেন। সেই টাকার বেশিরভাগটাই নিজেদের মধ্যে ভাগবাঁটোয়ারা করে নিচ্ছেন। অথচ আমরা শ্রমিকদের স্বার্থে কিছু করতে গেলেই নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ট্রাক থেকে টাকা তোলা বন্ধ করার দাবিতে আমরা দ্রুত আন্দোলন গড়ে তুলব।’