নাগরাকাটা: ছাতাই যেন রক্ষাকর্তা। বাগানের ঝোপের ভেতর আগে থেকেই ঘাপটি মেরে বসে ছিল চিতাবাঘ (Leopard)। অতর্কিতে থাবা উঁচিয়ে টার্গেট করে মহিলা চা শ্রমিকের মাথা। নিজেকে বাঁচাতে হাতের ছাতা দিয়ে মাথা ঢেকে ফেলেন। তবে চিতাবাঘও কি কম যায়! ছাতাকে ছিন্নভিন্ন করে মাথায় আক্রমণ করে। এদিকে, ভয় পাওয়ার পাত্রী নন তিপান্ন বছরের সীতা সাউও। ওই ছেঁড়া ছাতা দিয়েই তাড়া করে চিতাবাঘকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন তিনি। সীতার কথায়, ‘ভাগ্যিস সঙ্গে ছাতা ছিল। বুদ্ধি করে মাথা বাঁচাতে সেটাকেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করি। নয়তো আমার মাথাটাই হয়তো খুবলে নিয়ে নিত।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে বানারহাটের (Banarhat) আমবাড়ি চা বাগানের (Ambari Tea Garden) ওই ঘটনা যেন কোনও সিনেমাকেও হার মানায়। ওই চা বাগানের আপার লাইনের বাসিন্দা সীতা সেখানে এক নম্বর সেকশনে বাকিদের সঙ্গে কাঁচা পাতা তোলার কাজ করছিলেন। হঠাৎ ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে থাকা চিতাবাঘ ওই মহিলা শ্রমিকের উপর হামলা চালায়। প্রথমে রোদ থেকে বাঁচতে হাতে থাকা ছাতা দিয়েই নিজের মাথাকে ঢাকার চেষ্টা করেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। চিতাবাঘটি তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি ওই ছাতা দিয়ে চিতাবাঘকে তাড়া করেন। এরপর আশপাশের সকলে চিৎকার করতে শুরু করেন। তাঁরা সীতাকে উদ্ধার করে নাগরাকাটার সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয় সিটি স্ক্যান করার জন্য। বন দপ্তরের ডায়না রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার অশেষ পাল বলেন, ‘আহতর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ আমরা বহন করছি।’