রায়গঞ্জ: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) আগে বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে এলে অঞ্চল সভাপতি করে দেওয়া হবে। একটি ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপে (Viral Audio Clip) এক বিজেপি নেতাকে এমনই প্রস্তাব দিতে শোনা গিয়েছে রায়গঞ্জের বিধায়ক (Raiganj MLA) কৃষ্ণ কল্যাণীকে (Krishna Kalyani)। যদিও ওই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। তবে সেই অডিও ক্লিপে তৃণমূল বিধায়ক বলে দাবি করা ওই কণ্ঠে শোনা গিয়েছে যে, বিজেপির মণ্ডল সভাপতি থাকলে ‘পুলিশ কেস’ খেতে হবে বা ‘পুলিশ ধরবে’।
এদিকে, ওই অডিও ক্লিপ ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিজেপিকে ভয় পেয়েছে বলেই দল ভাঙানোর চেষ্টায় মেতে উঠেছে? নির্বাচনের আগে বিজেপিকে আটকাতে কি পুলিশ দিয়ে মিথ্যে মামলায় ধরানো হবে বিরোধী নেতা-কর্মীদের।
ক্লিপ ভাইরাল হতেই এ নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধেছেন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূলের এতটাই দুর্দশা যে বিজেপির নীচুতলার কার্যকর্তাকে দলে নেওয়ার জন্য কাকুতি-মিনতি করছেন বিধায়ক। কিন্তু আমাদের কার্যকর্তারা দলের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাঁদের এভাবে ভাঙানো যাবে না।’ যদিও বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর দাবি, ‘আমি ওই ব্যক্তিকে ফোন করিনি। উনি নিজেই আমাকে ফোন করে তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। আমাদের দলের দরজা সবার জন্য খোলা নয়। শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করবে, কাকে দলে নেওয়া হবে। তবে জেলায় বিজেপির কোনও সংগঠনই নেই।’