গৌরহরি দাস ও শুভঙ্কর সাহা,কোচবিহার ও দিনহাটা: জগদীশ বর্মা বসুনিয়াকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণার পরপরই দলের একাংশের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রবিবার জগদীশকে প্রার্থী করার পরপরই ঘাসফুলের কোচবিহার-১ বি ব্লকের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি সঞ্জীব রাজভর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘ছুড়ে দেওয়া হল।’ এরপর গোটা চারেক বিস্ময়সূচক চিহ্ন। তাঁর এই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ সেখানে লিখেছেন, ‘তোমরা কী চাও, দল সবকিছু যার যার পছন্দমতো করবে?’ আর মন্ত্রীর এই পোস্টকে ঘিরে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিশেষ করে তৃণমূলের অন্দরে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে জগদীশের পাশাপাশি দলের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়েরও নাম ছিল। যদিও শেষপর্যন্ত জগদীশকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে দল। সঞ্জীব রাজভর নামে যিনি এই পোস্ট করেছেন তিনি পার্থপ্রতিম রায়ের অনুগামী হিসাবেই পরিচিত। রাজনৈতিক মহলের মতে পার্থকে প্রার্থী না করার হতাশাতেই বোধহয় তিনি এরকম পোস্ট করেছিলেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে সোমবার জিজ্ঞাসা করা হলে সঞ্জীব রাজভর জানান, তিনি যে পোস্ট করেছেন সেটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ও পারিবারিক। এর সঙ্গে রাজনীতি বা প্রার্থী হওয়ার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। দল যাঁকে প্রার্থী করেছে, দলের একজন কর্মী হিসাবে তিনি তাঁর হয়েই কাজ করবেন।
‘যদি দলের সঙ্গে সঙ্গে নিজের ভালো চান, দলের কাউকেই শত্রু বলে মনে করবেন না।’ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার একদিন পরেই সোমবার দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভাষাতেই ‘হুঁশিয়ারি’ দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি কাকে বা কার উদ্দেশ্যে এই হুমকি দিয়েছেন, কেন দিয়েছেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে বিশেষ করে তৃণমূলের অন্দরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও তিনি একে হুঁশিয়ারি বলতে নারাজ। এদিন তিনি বলেন, ‘একজন বয়স্ক সহকর্মী হিসাবে সবাইকে উপদেশ দিয়েছি। সার্বিকভাবে সবার উদ্দেশ্যেই বলা। তবে কোচবিহারে এধরনের ক্ষোভ, বিক্ষোভ আছে এমনটা জানা নেই।’