মোস্তাক মোরশেদ হোসেন, বীরপাড়া: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) প্রার্থী দেবে মূলনিবাসী আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। সোমবার একথা জানান সংগঠনের সভাপতি রাজেশ লাকড়া ওরফে টাইগার। তাঁদের মূল লক্ষ্যই তরাই ডুয়ার্সে ষষ্ঠ তফশিল আদায়, স্পষ্ট বার্তা রাজেশের। আদিবাসী আবেগকে হাতিয়ার করে শতাধিক চা বাগান অধ্যুষিত আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে তারা প্রার্থী দিলে বিজেপি (BJP) ও তৃণমূল (TMC) উভয়ের ভোটব্যাংকেই থাবা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
ইতিমধ্যেই বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছেন টাইগার। সোমবার তিনি বীরপাড়া, কালচিনি, আলিপুরদুয়ার চষে বেড়ান। বীরপাড়ায় স্থানীয়দের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এমন প্রার্থীকে ভোট দিন যিনি ওভারব্রিজ তৈরি করবেন এবং ডলোমাইটের সমস্যা মেটাবেন। না হলে ডলোমাইটের দূষণে আপনারা ক্যানসারে আক্রান্ত হবেন।’ বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) মনোজ টিগ্গা ও তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিকবড়াইকের নাম করে তিনি বলেন, একজন বিধায়ক, আরেকজন রাজ্যসভার সাংসদ। অথচ ডলোমাইটের সমস্যা মেটাতে এবং বীরপাড়ায় আরওবি তৈরিতে এরা কোনও পদক্ষেপই করেননি। অভিযোগ রাজেশের। তবে জন বারলা (John Barla) সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
আর এতেই ভিন্ন সমীকরণের সম্ভাবনা দেখছে রাজনৈতিক মহল। ২০২১ সালে মাদারিহাট বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন রাজেশ। সম্প্রতি তৃণমূল ত্যাগ করে তিনি মূলনিবাসী আদিবাসী বিকাশ পরিষদেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে আদিবাসীদের একগুচ্ছ দাবিদাওয়া আদায়ে পথে নেমেছেন। রাজেশের সঙ্গে বারলা রয়েছেন কি না তা নিয়ে গত ৬ মার্চই বারলা বলেছিলেন, ‘আদিবাসীরা আন্দোলন করছে। ওদের সঙ্গে তো আমাকে থাকতেই হবে।’
সাংসদ বারলাকে নিয়ে তিনি কেন নীরব, সেই প্রশ্নের জবাবে টাইগার বলেন, ‘তাঁর সাংসদ পদের মেয়াদ শেষের দিকে। তাই তাঁকে নিয়ে কিছু বলে লাভ নেই।’ রাজেশরা প্রার্থী দিলে বারলার ভূমিকা কী হবে, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। ফোন না ধরায় এ নিয়ে অবশ্য বারলার প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।