দিনহাটা: ‘তৃণমূল না চাইলে বিরোধীদের ক্ষমতা ছিল না প্রার্থী দেওয়ার’, এমনই মন্তব্য করলেন দিনহাটা ২ ব্লকের তৃণমূল নেতা তথা বড়শাকদল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান তাপস দাস। মঙ্গলবার বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র তুলতে আসেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাপস বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধীদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিয়েছে বলেই তারা মনোনয়ন জমা করেছে। দল যদি মনে করত দিনহাটা ২ ব্লকে বিরোধীদের কাউকে মনোনয়ন জমা করতে দেওয়া হবে না, তাহলে কোনও বিরোধী দলের ক্ষমতা ছিল না প্রার্থী দেওয়ার। বিজেপিও পালানোর পথ খুঁজে পেত না।’ স্বাভাবিকভাবেই বিদায়ী প্রধানের এমন মন্তব্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা।
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতার বক্তব্যকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। সিপিএমের কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য শুভ্রালোক দাস বলেছেন, ‘তৃণমূলের এধরণের মন্তব্য গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। নির্বাচনে বিরোধীরা প্রার্থী দেবে এটাই নিয়ম। ওদের উদারতা বা মহানুভবতার প্রয়োজন নেই। দিনহাটা ২ ব্লক যে তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাস ও হিংসার আঁতুরঘরে পরিণত হয়েছে, তা ওই নেতার বক্তব্যেই পরিষ্কার।’
দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জীবেশ বিশ্বাসের কটাক্ষ, ‘এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। ওঁর মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়ার প্রয়োজনই মনে করছি না।’ সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই সরগরম দিনহাটার রাজনীতি।