কোচবিহার: কোচবিহারের কালজানিতে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন ও খুনের অভিযোগে মূল অভিযুক্ত বাপ্পা বর্মন সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের কোচবিহার জেলা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেছিলেন। সরকারি পক্ষের আইনজীবী তাতে প্রবল আপত্তি জানান। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই কোচবিহারের কালজানির বাসিন্দা ১৪ বছরের এক কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। কিশোরী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাঁকে ফুঁসলে অপহরণ করে মাথাভাঙায় নিয়ে যায় এক যুবক। সেখানে কিশোরীর ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। এদিকে, মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় বাড়ির লোকজন খোঁজখবর শুরু করেন। কিন্তু কিশোরীর হদিস না পেয়ে ২০ জুলাই পুন্ডিবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশ বাপ্পা বর্মন সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। নির্যাতনের ফলে কিশোরী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কোচবিহারের একটি নার্সিংহোম হয়ে ২০ জুলাই মাঝরাতে তাকে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৬ জুলাই সেখানে কিশোরীর মৃত্যু হয়।
এদিকে ঘটনায় জেলার প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে নানা জায়গায় আন্দোলন শুরু হয়। মঙ্গলবার কোচবিহার শহরে একটি প্রতিবাদ মিছিল করেছে আম আদমি পার্টি। পুলিশ সুপারের দপ্তরের সামনে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখিয়েছে তারা। মেয়েদের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিতে পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দোষীদের কঠোর শাস্তির পাশাপাশি সব জায়গায় পুলিশ পেট্রোলিং বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।