কোচবিহার: কোচবিহার শহরের ফাঁসিরঘাটে তোর্ষায় বাঁশের সাঁকো নির্মাণ শুরু করল পুরসভা। প্রতি বছরই ছটপুজোর আগে এখানে সাঁকো তৈরি করা হয়। এই সাঁকো পেরিয়ে ছটব্রতীরা পুজো করেন। আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর ছটপুজো। কোচবিহার শহর ও সংলগ্ন এলাকার হাজার হাজার পুণ্যার্থী এখানে ভিড় করেন। তার আগে সাঁকো তৈরি করা হচ্ছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই এখানে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। ছটপুজোর পর থেকে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে কোচবিহার শহর থেকে কোচবিহার-১ ব্লক মাথাভাঙ্গা, দিনহাটার বহু মানুষ যাতায়াত করেন। পরবর্তীতে বর্ষাকালে নদীতে জল বাড়লে জলের তোড়ে সাঁকো ভেসে যায়। তখন নৌকা দিয়েই পারাপার করা হয়। নদীতে আরও জল বাড়লে তাও বন্ধ হয়ে যায়। তখন প্রায় ১২ কিলোমিটার ঘুরপথে ঘুঘুমারি দিয়ে কোচবিহার শহরে যাতায়াত করতে হয় হাজার হাজার মানুষকে।
এর আগে একাধিকবার পুরসভার তৈরি এই সাঁকো ছটপুজোর সময় ভেঙে গিয়েছিল। বহু পুণ্যার্থী সাঁকো ভেঙে নদীতে পড়ে যান। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিল পুরসভা। এবার যাতে সেধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য মজবুতভাবেই সাঁকো নির্মাণ করা হচ্ছে বলে পুরসভার দাবি। একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মঙ্গলবারও কাজ দেখতে গিয়েছিলেন তিনি।