ইম্ফল: সোমবার মণিপুরে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। তিনদিন সেখানে থাকার কথা রয়েছে তাঁর। তার আগে ফের নতুন করে অশান্তি ছড়াল সেখানে। সংঘর্ষে এক পুলিশকর্মী সহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১২ জন। গতকালই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং জানিয়েছিলেন, অন্তত ৪০ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রশাসনের তরফে যাদের জঙ্গি তকমা দেওয়া হচ্ছে, তারাই অত্যাধুনিক রাইফেল সহ নানা অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাচ্ছে। অভিযোগের তির কুকি সম্প্রদায়ের দিকে। তাদের ছোঁড়া গুলিতে সুগনুতে এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এছাড়াও রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত রয়েছে মণিপুর। রবিবার মণিপুরের বেশ কয়েকটি জায়গা নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং দাবি করেন, নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে অন্তত ‘৪০ জন জঙ্গি’ নিহত হয়েছেন। অভিযান এখনও চালাচ্ছে সেনা।মণিপুরে গত কয়েক দিন ধরে কুকি এবং মেইতেই জনজাতির মধ্য সংঘর্ষ চলছে। সে কারণে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে। গত ২৫ দিন ধরে সেখানে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বহু মানুষ ঘরছাড়া। রবিবার রাত দুটো থেকে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের চারপাশে অন্তত ৫টি এলাকায় হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। সেকমাই, সুগনু, কুম্বি, ফায়েং সহ একাধিক এলাকায় হামলার খবর মিলেছে। তবে এই ভোর রাত থেকে চলা সংঘর্ষ এই দুই জনজাতির মধ্যে হয়নি বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কুকি এবং নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তাতেই বিভিন্ন জায়গায় মৃত্যু হয়েছে ৪০ কুকি জঙ্গির। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিরস্ত্র নাগরিকদের খুন করেছে কুকি জঙ্গিরা। সাধারণ নাগরিককে এম-১৬, একে-৪৭, স্নাইপার বন্দুক নিয়ে আক্রমণ করেছে। অনেক গ্রামে ঢুকে বহু ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। সেনা এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সহায়তায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করছি।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, শান্তি অভিযানে মণিপুরে রয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায়। এই পরিস্থিতিতে জঙ্গিদের হামলা পূর্বপরিকল্পিত।