উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মামলায় বড় ধাক্কা মসজিদ কমিটির। তাদের সমস্ত পিটিশন খারিজ করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। মসজিদ চত্বরে পুজো করার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল হিন্দু পক্ষ। তার বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় উত্তর প্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এবং অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। পাঁচটি আবেদন জমা পড়ে হাইকোর্টে। সব ক’টি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, আগামী ছয় মাসের মধ্যে মামলাটির শুনানি শেষ করার জন্য বারাণসী আদালতকে নির্দেশও দিয়েছে উচ্চ আদালত।
অযোধ্যার মতোই কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং জ্ঞানবাপী মসজিদকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। হিন্দু পক্ষের দাবি, ১৬৬৯ সালে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি করেছিলেন। এরপর থেকে মসজিদ বিতর্কে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় চাপানউতোর। বিতর্ক চরম আকার নেয় গত বছর। মসজিদের ভিতরে ভিডিওগ্রাফি চলাকালীন শিবলিঙ্গের খোঁজ মেলে বলে অভিযোগকে ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। সেই সঙ্গে মন্দির ভেঙে মসজিদ করা হয়েছে বলে দাবি করে হিন্দু সংগঠনগুলি। বারাণসী জেলা আদালত পর্যন্ত মামলা পৌঁছাতেই, বিতর্কিত স্থানটি ঘিরে ফেলা হয়েছিল। এরপর বিতর্কিত স্থান ছাড়া মসজিদ জরিপের জন্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে নির্দেশ দিয়েছিল বারাণসীর জেলা আদালত। যদিও সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মসজিদ কমিটি। পরে সেই মামলা ফেরৎ পাঠানো হয় এলাহাবাদ হাইকোর্টে। জরিপ নিয়ে জেলা আদালতের নির্দেশকেই বহাল রাখে উচ্চ আদালত।
প্রসঙ্গত, গত সোমবারই মুখবন্ধ খামে সার্ভে রিপোর্ট পেশ করে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। ওই মামলার সরকারি আইনজীবী অমিত শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, এএসআই-এর তরফে বারাণসী জেলা আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।