উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ শিলিগুড়ি পুরনিগমের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শিলিগুড়ি বর্ধমান রোডের একটি বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় শনিবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেই সঙ্গে শিলিগুড়ির পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়াকে ভরা এজলাসে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। শুধু তাই নয়, পুরনিগমের রেকর্ড রুম সিআইডির তত্ত্বাবধানে তালাবন্দি করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ি শহরজুড়ে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ পুর কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, ১৯৮৯ সালে নির্মিত শিলিগুড়ির বর্ধমান রোডের একটি বেসরকারি ভবনের ট্রাস্টের সদস্যদের মধ্যে ঝামেলা বাধে। অভিযোগ, বেআইনিভাবে বিল্ডিং পাস করে ভবনটি নির্মাণ করেছেন তৎকালীন ট্রাস্টের সভাপতি। সেই বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা ঝামেলা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এমনকি ফায়ার লাইসেন্স পেতে যে নিয়ম মেনে ভবন তৈরি করার কথা তাও মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এসব অভিযোগে বর্তমান ট্রাস্টের সদস্যরা প্রাক্তন ট্রাস্টের সভাপতি ও সদস্যদের বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিল্ডিং-এর বৈধ প্ল্যান ও প্রয়োজনীয় নথি আদালতে জমা করার নির্দেশ দেন পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়াকে। আদালতের তরফে বারবার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও প্ল্যান ও প্রয়োজনীয় নথি আনতে ব্যর্থ হয় পুর কর্তৃপক্ষ। এই কারণে শনিবার শিলিগুড়ির পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়াকে ভরা এজলাসে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। পাশাপাশি সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। বিচারপতির নির্দেশ, অবিলম্বে পুরনিগমের রেকর্ড রুম তালাবন্দি করতে হবে সিআইডির তত্ত্বাবধানে। এছাড়া সিআইডির সুপারকে দু’সপ্তাহের মধ্যে প্ল্যানটির তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
এদিন বিচারপতি আদালতে আশঙ্কা প্রকাশ করেন আদৌ ১৯৮৯ সালের বিল্ডিং প্ল্যান ও অন্যান্য যাবতীয় নথি পুরনিগমের সংরক্ষণে আছে কী না। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন, ১৯৮৯ সালের পরে কতগুলি বিল্ডিং প্ল্যান পুরনিগম পাশ করেছে, এবং ক’টির নথি রেকর্ড রুমে রয়েছে- সেই তথ্যও জানাতে হবে আদালতে। মামলা নিয়ে পৌর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়ার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।