হরিশ্চন্দ্রপুর: লোকসভা নির্বাচনের আগে এলাকায় কৃতিত্বের দাবি ছাড়তে রাজি নয় কোনও দলই। আর এরকমই একটি ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur)। শনিবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বিদ্যানন্দপুরে পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তার শিলান্যাস নিয়ে রীতিমতো গণ্ডগোল বেধে গেল তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে সিপিএম-কংগ্রেস জোট (CPM-Congress Alliance) সমর্থকদের। দু’পক্ষের সংঘর্ষে জখম হয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১-এর বিডিও (Harishchandrapur BDO) সৌমেন মণ্ডল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইসির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় বিশাল পুলিশবাহিনী। একে অপরের বিরুদ্ধে বিডিওকে হেনস্তার অভিযোগ তুলেছে দু’পক্ষই। শেষে থমকে গেল রাস্তার শিল্যানাস অনুষ্ঠান।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিদ্যানন্দপুরে পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২৬০ মিটার রাস্তা ঢালাইয়ের অনুষ্ঠান ছিল শনিবার। এই রাস্তার শিলান্যাসের জন্য তৃণমূলের তরফে যান জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্যা মর্জিনা খাতুন সহ অঞ্চল তৃণমূলের নেতৃত্ব। এদিকে, এই হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতি এবং বরুই গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের দখলে। ফলে শিলান্যাস নিয়ে শুরু হয় তর্জা। অন্যদিকে, জোটের তরফে আসেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আবু তাহের সহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। আধিকারিক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১-এর বিডিও। তবে, এই শিলান্যাস করবেন কে? তা নিয়ে তৃণমূল ও জোটের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তা গড়ায় হাতাহাতিতে।
তৃণমূলের দাবি, এই পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা মুখ্যমন্ত্রীর কাজ। তাই শিলান্যাস অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তাদের জনপ্রতিনিধি এবং নেতৃত্ব। এখানে পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির কোনও ভূমিকা নেই। এদিন জোটের নেতা-কর্মীরা বিডিওকে হেনস্তা করেছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মর্জিনা খাতুনের।
এদিকে, কংগ্রেসের মুখপাত্র আব্দুস সোভানের পালটা দাবি, জোটের পঞ্চায়েত সমিতি ঠিক করেছিল এই রাস্তার কাজের শিলান্যাস করবেন বিডিও। কিন্তু শাসকদল এটা চাইনি বলেই গণ্ডগোল পাকিয়েছে, বিডিওকে হেনস্তা করেছে।
এ নিয়ে বিডিও সৌমেন মণ্ডল বলেন, ‘আজ ওই এলাকায় একটা রাস্তার কাজের শিলান্যাস অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সেখানেই আমি জখম হয়েছি। আপাতত শিলান্যাস স্থগিত রাখা হয়েছে। তা পরে করা হবে।’