চাঁচলঃ মঙ্গলবার চাঁচলের পাহাড়পুরে বাইপাসে সরকারি বাসের ধাক্কায় (Bus accident) গুরুতর আহত হয়েছিলেন শাওরগাছির বাসিন্দা হাসিরুদ্দিন(৫৫)। চাঁচল থেকে প্রথমে মালদা এবং পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার মৃত্যু হয় তাঁর। শনিবার সকালে হাসিরুদ্দিনের মরদেহ চাঁচলে ফিরতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। শবদেহবাহী গাড়িতেই মৃতদেহ রেখে বাইপাসে দুর্ঘটনাস্থলের কাছে ৮১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ (Road Block) করে চলতে থাকে বিক্ষোভ। বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাস্তা। সকাল ছটা থেকে শুরু হয় এই বিক্ষোভ। দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা বিক্ষোভ চলার পর এগারোটা নাগাদ পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়। এই বিক্ষোভের জেরে জতীয় সড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। চাঁচল থেকে মালদাগামী যাত্রীবাহী বাসগুলো আটকে পড়ে। ভোগান্তির মুখে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ বারবার দুর্ঘটনা ঘটলেও সরকারি বাসের বেপরোয়া গতিতে লাগাম নেই। সরকারি বাসের চালকরা মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করছে। সঙ্গে ঘাতক বাসের চালকের শাস্তি এবং ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। চাঁচল থানাতেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রতিবেশী আবদুল রোফ বলেন,” উনি চাষের জমি দেখতে যাচ্ছিলেন সাইকেলে করে। সরকারি বাস ভুল দিকে এসে সামনাসামনি ধাক্কা মারে। বাসের চালকের গ্রেপ্তারের দাবী জানাচ্ছি।”
স্থানীয় আলেম খাতুনের দাবি, “শুধুমাত্র বাসের চালকের ভুলের জন্য এভাবে একটা মানুষ মারা গেল। পরিবারের আর্থিক অবস্থাও খারাপ। প্রশাসনের উচিত ক্ষতিপূরণ দেওয়া।” মৃতের ছেলে সাহেব আলী জানান,” যে বাসচালকের ভুলে আমার বাবা মারা গেল তার শাস্তি চাই। বাবা নিজের দিক দিয়ে যাচ্ছিল। বাসটাই ভুল দিক থেকে এসে ধাক্কা মেরেছে। তাই আজ আমরা প্রতিবাদ করছি।”
জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি রফিকুল হোসেন বলেন, “আমি জেলা শাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রশাসনিকভাবে নিয়ম অনুযায়ী যা যা সাহায্য পাওয়া যায় সেটা ওই পরিবার পাবে। সঙ্গে পরিবারের একজনের চাকরির বিষয় নিয়েও ভাবছি আমরা।”চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে, সমগ্র ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে। কোন বাসে দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি।