বর্ধমান: কয়েক দিন ধরেই ভাগীরথীতে ভেসে থাকতে দেখা যাচ্ছিল একটি কুমিরকে। তা নিয়ে কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। শেষমেশ বুধবার প্রায় ১২ ফুট লম্বা ওই কুমিরটিকে পাকড়াও করতে সক্ষম হলেন বনকর্মীরা। গ্রামবাসী ও বনকর্মীরা মিলে এদিন সাত ঘণ্টার চেষ্টায় কুমিরটিকে বাগে আনেন। কুমির দেখতে ভাগীরথীর তীরে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। আপাতত সেটিকে কাটোয়ায় বনদপ্তরের অফিসে রাখা হয়েছে।
কালিকাপুরে ভাগীরথী নদী পারাপারের ফেরিঘাট। এদিন ভোরে ঘাট কর্তৃপক্ষের তরফে অভিজিৎ হালদার ফেরিঘাট চালু করতে আসেন। তখনই তিনি দেখেন কুমিরের মত দেখতে লম্বা একটা প্রাণী ঘাটের কাছে শুয়ে আছে। ভয়ে ভয়ে একটু এগিয়ে গিয়ে তিনি নিশ্চিত হন সেটি কুমিরই। এরপরে তিনি গ্রামের মানুষজনকে বিষয়টি জানান। খবর যায় বনদপ্তরে। বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ বন দপ্তরের লোকজন সেখানে পৌঁছান। গ্রামবাসী ও বনকর্মীরা একযোগে চেষ্টা চালিয়ে কুমিরটিকে বাগে আনতে সক্ষম হন।
জেলার বন আধিকারিক নীশা গোস্বামী জানান, অগ্রদ্বীপের কালিকাপুরে ভাগীরথী নদী থেকে কুমির ধরা হয়েছে। সেটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরে ভাগীরথী নদীর কোনও এক জায়গায় সহায়ক পরিবেশ দেখে কুমিরটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে।