বালুরঘাট: সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে গিয়েও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ। কৃষকদের অভিযোগ, খারাপ ধান হলেও টাকা দিলেই তা কিনে নিচ্ছে মিলের কর্মীরা। আর টাকা না দিলেই ধান নিতে অস্বীকার করছে মিলের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার বালুরঘাট কিষাণ মান্ডিতে খারাপ ধান বলে কৃষকদের কাছ থেকে ধান নিতে অস্বীকার করে কর্মীরা। আর এতেই ক্ষুব্ধ কৃষকরা মিলের কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বালুরঘাট থানার পুলিশ, ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৌশিক চৌধুরী সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। ক্ষুব্ধ কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এদিকে দূরদূরান্ত থেকে ধান বিক্রি করতে এসে সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। যদিও টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে মিল মালিক কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত প্রায় এক মাস ধরে বালুরঘাট ব্লকের কিষাণ মান্ডিতে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৬০ জন কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করেন মিল মালিকরা। আজও বালুরঘাট ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৬০ জন কৃষক ধান বিক্রি করতে আসেন। সরকারি সহায়ক মূল্য ২২০৩ টাকায় ধান ক্রয় করেছে মিল মালিকরা। এদিকে ১০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে অতিরিক্ত ৫০ কিলো ধান দিতে হচ্ছে কৃষকদের। এমনকি প্রতি বস্তাতেই কিছু ধান এমনি বেশি দিচ্ছে কৃষকরা। অভিযোগ, অতিরিক্ত ধান দেওয়ার পরও ধান খারাপ বলে তা নেওয়া হচ্ছে না। আবার কোনও কৃষক টাকা দিতে চাইলে সেই খারাপ ধান নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কাটমানি না দিলে ধান নেওয়া হচ্ছে না। ধান যদি নাই কিনতে হয় তাহলে পরে ধান নিয়ে আসা নিয়ে যাওয়ার ভাড়া যেন তাদেরকে দেওয়া হয় এই দাবিতে এদিন বিক্ষোভ দেখায় কৃষকরা।
