কলকাতা: রাজ্যে একাধিক দুর্নীতি তদন্তে রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেই বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনায় কর্মীসভা করতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘সিবিআই, ইডিকে ঢুকিয়ে টাকা এবং সোনা লুঠ করছে। সেই টাকা বিজেপির পকেটে যাচ্ছে। কোনও কেসের বিচার হয়নি। তৃণমূল করলেই জেলে ভরো! সারা দেশে এজেন্সির গণতন্ত্র চলছে। আবার নেতারা বলছেন, গ্রেপ্তার বাড়ান। না হলে জেতা যাবে না।’ এই প্রসঙ্গেই উঠে আসে জেলবন্দি বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কথা। মমতা বলেন, ‘বালুকে কেন অ্যারেস্ট করেছে? যাতে পার্টির কাজ না করতে পারে।’
সর্বভারতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটে সিপিএম, কংগ্রেস থাকলেও এরাজ্যে যে তাঁরা বিজেপির ‘বি টিম’ হিসেবে কাজ করছে সেই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর অভিযোগ, ‘বালুদের জেলে ভরে সেই সুযোগে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি ভাঙড় থেকে বারাসত একসঙ্গে বেরিয়ে পড়েছে রাস্তায়। আর সবাইকে চোর চোর বলছে।’ সম্প্রতি, সংসদে বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড প্রসঙ্গেও সরব হন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর সতকর্তা, আগেও অনেক সরকার ছিল। কিন্তু এই ধরনের অত্যাচার, সন্ত্রাস আগে কখনও হয়নি।’ বাংলা থেকে তৃণমূল কম আসন পেলে ওদের অত্যাচার আরও বাড়বে বলেও এদিন জানান তৃণমূল নেত্রী।
নাগরিকত্ব প্রশ্নেও এদিন মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘কীসের নাগরিকত্ব? নাগরিকত্ব না থাকলে র্যাশন কার্ড, ভোটার কার্ড হচ্ছে কী করে। আগে সিটিজেন শিপ কার্ড জেলা শাসকদের হাতে ছিল, কেড়ে নিয়েছে রাজনীতি করার জন্য। সমাজে সমাজে ভাগ করার জন্য। বলছে, একে দেব, ওকে দেব না। আমরা এই জিনিস বরদাস্ত করব না।’