জলপাইগুড়ি: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাজ্য সরকার ভালো কাজ করছে। সোমবার জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে ঝড়ে আহতদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। এদিন রাজ্যপাল আরও জানান, দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। যাঁরা চিকিৎসাধীন তাঁদের অবস্থাও স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এদিকে, উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং আবাস যোজনায় বকেয়া নিয়ে এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, এখন সকলে মিলে কাজ করার সময়। এ নিয়ে পরে আলোচনা করা হবে।
ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকা খতিয়ে দেখতে এদিনই জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পৌঁছোন রাজ্যপাল। সকালে বাগডোগরা বিমানবন্দরে (Bagdogra airport) নেমে জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। এরপর জলপাইগুড়ির ক্লাব রোডের পূর্ত দপ্তরের বাংলোয় ওঠেন। সেখান থেকে ময়নাগুড়ির ঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে। বিকেলে ফের তিনি জলপাইগুড়ি আসেন। এরপর সরাসরি তিনি জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে যান। সেখানে সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
রবিবার বিকেলে কিছুক্ষণের ঝড়ে (Kalbaisakhi Storm) লন্ডভন্ড হয়ে যায় জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri Storm) বিস্তীর্ণ এলাকা। অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় বহু মানুষ। ঝড়ে প্রচুর গাছ উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়ি। জেলাজুড়ে অনেক জায়গাতেই কম-বেশি ঝড়ের তাণ্ডব চললেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর ও ময়নাগুড়ির (Maynaguri) বার্নিশ এলাকায়।