দার্জিলিং: গতকালই দার্জিলিংয়ে পর্যটক পিছু কর সংগ্রহের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল পুরসভা। এই ঘোষণার পরই বিভিন্ন মহল সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। এরপর চাপের মুখে পর্যটকদের কাছ থেকে মাথাপিছু কর সংগ্রহের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দিল দার্জিলিং পুরসভা। পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন ঠাকুরি জানান, বিভিন্ন জন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁদের কাছে মতামত জানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত এই ফি নেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে রিভিউ মিটিংয়ের পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সম্প্রতি পাহাড়ের হোটেলগুলি থেকে পর্যটকপিছু প্রতিদিন ২০ টাকা করে সংগ্রহের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দার্জিলিং পুরসভা। হোটেলগুলির কাছ থেকেই এই টাকা সংগ্রহ করা হবে বলে জানানো হয়। মূলত পাহাড়কে আবর্জনা মুক্ত রাখতেই এই বাড়তি টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা নিয়ে প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন সংগঠন। দার্জিলিং অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রাভেল এজেন্টসের জেনারেল সেক্রেটারি প্রদীপ লামা জানান, এই ভাবে কর সংগ্রহের সিদ্ধান্ত ভুল। প্রতিটি হোটেল পুরসভাকে ১৫০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত কনজার্ভেন্সি ফি দিয়ে থাকে। তারপর এই বাড়তি টাকা কেন নেওয়া হবে তা পরিস্কার নয়। এছাড়াও তিনি জানান, পুরসভা ও বন দপ্তর টাইগার হিল থেকে পর্যটকপিছু টাকা সংগ্রহ করে। সম্প্রতি লেপচাজগতেও ছবি তোলার জন্যও টাকা নেওয়া হচ্ছে। এভাবে টাকা সংগ্রহ করা হলে দার্জিলিংয়ের নাম খারাপ হবে। এতে দার্জিলিংয়ের পর্যটনের উপরেও বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ঝাড়খন্ডের এক পর্যটক পঙ্কজ কুমার উপাধ্যায় জানান, ২০ টাকা করে নেওয়াটা বড় ব্যপার নয়, কিন্তু এতে পাহাড়ের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা হবে কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন। আরও এক পর্যটক পার্থ প্রতিমের প্রশ্ন, ২০ টাকা করে দেওয়ার পরও সুলভ শৌচালয়ের সুবিধে কি সর্বত্র মিলবে?
এদিন চেয়ারম্যান দীপেন ঠাকুরি জানিয়েছেন, এটা কোনও কর নয়, এটা ফি। আগেও এই ফি নেওয়া হত। ২০১৫ সাল থেকে এই ফি নেওয়া বন্ধ ছিল। তারা ফের এই প্রক্রিয়া চালু করছেন। যেকোনও পর্যটনকেন্দ্রেই এই ধরনের ফি নেওয়ার ব্যবস্থা চালু রয়েছে। তবে এটা নিছক পরিকল্পনার স্তরেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।