নয়াদিল্লি: যৌন হয়রানির অভিযোগে কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে দিল্লি পুলিশ। তাতে নাবালিকা কুস্তিগিরের দায়ের করা অভিযোগ খারিজ করার সুপারিশ করেছে তারা। তবে বাকিদের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, অন্তত চারটি অভিযোগের ক্ষেত্রে পুলিশ যৌন হয়রানির প্রমাণ হিসাবে কিছু ছবি এবং ভিডিও ক্লিপিং চার্জশিটের সঙ্গে যুক্ত করেছে। তার আগে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে দেড় শতাধিক ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন প্রাক্তন অলিম্পিয়ান, একজন জাতীয় কোচ এবং দু’জন অবসরপ্রাপ্ত কুস্তিগির অভিযোগের সপক্ষে বয়ান দিয়েছেন।
তবে কি এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ব্রিজভূষণকে গ্রেপ্তার করা হবে? এবিষয়ে আইনজ্ঞদের ব্যাখ্যা, চার্জশিট জমা পড়ায় ধরে নেওয়া যায়, তদন্তের জন্য ব্রিজভূষণকে গ্রেপ্তারের প্রয়োজন নেই। কিন্তু তাঁকে হেপাজতের বাইরে রেখে তদন্ত কতটা সঠিক হল সেই প্রশ্ন রয়েছে। নথিপত্র লোপাটের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে পুলিশ অতিরিক্ত তদন্তের জন্য ব্রিজভূষণকে হেপাজতে নেওয়ার কথা বলতে পারে। এদিকে নাবালিকার অভিযোগ সম্বলিত যে মামলা পুলিশ খারিজ করার আর্জি জানিয়েছে, তার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে বলে জানান কুস্তিগির সাক্ষী মালিক। তাঁর বক্তব্য, ওই নাবালিকা ও তাঁর বাবাকে ভয় দেখিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করানো হয়েছে।
কারণ, নাবালিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল। আর ওই আইনে ব্রিজভূষণের গ্রেপ্তারি এড়ানো কঠিন হত। তবে বাকি অভিযোগ প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের এক কর্তা জানান, প্রতিটি অভিযোগ আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিটি অভিযোগের জন্য, সাক্ষী, ফটো বা ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে। অপরাধ ও শাস্তির ধরন নির্ধারণ করবে আদালত। তাঁরা শুধুমাত্র প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন।