নয়াদিল্লি: হাসপাতালে ভর্তি দিল্লির নির্যাতিতা কিশোরীর সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না পুলিশ। দেখা করতে দিচ্ছে না তাঁর মায়ের সঙ্গেও। পুলিশের বিরুদ্ধে ‘গুন্ডাগিরি’র অভিযোগ তুলে সরব হলেন দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। এমনকি নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করবেন বলে হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রাত কাটালেন তিনি। তেমনই একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।
দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান জানান, দিল্লি পুলিশ গুন্ডাগিরিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। তারা নির্যাতিতা এবং তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না। দিল্লি পুলিশ কী লুকোতে চাইছে? বোঝা যাচ্ছে না। এরপরই মালিওয়াল প্রশ্ন তোলেন, শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে দেখা করতে দেওয়া হলে তাঁকে কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে? সোমবার দুপুর থেকে হাসপাতালে অপেক্ষা করছেন তিনি। নির্যাতিতা এবং তার মায়ের সঙ্গে দেখা না করে হাসপাতাল থেকে এক পাও নড়বেন না বলেও জানিয়েছেন স্বাতী। তাঁর কথা, নির্যতিতাকে সবরকমভাবে সাহায্য করা হচ্ছে কি না জানতে চান তিনি। চিকিৎসা ঠিক মতো হচ্ছে কিনা, তাও জানতে চান।
প্রসঙ্গত, বন্ধুর ১৪ বছরের মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে দিল্লির নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে। কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাকে জোর করে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ানোর অভিযোগ ওঠে আধিকারিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী নির্যাতিতা কিশোরী। ২০২০ সালে তার বাবা মারা যায়। অভিযোগ, এরপর সাহায্যের নামে কিশোরীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন দিল্লির মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের ওই আধিকারিক। অভিযোগ, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বহুবার কিশোরীকে ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি। ফলে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরে তাকে জোর করে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ান আধিকারিকের স্ত্রী। বর্তমানে ওই কিশোরীর চিকিৎসা চলছে। কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই আধিকারিক এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। অভিযোগ পেতেই ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবারই ওই আধিকারিককে তাঁর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। সস্ত্রীক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।