নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, নয়ডা সহ বিভিন্ন জায়গায় কনজাংটিভাইটিসের সংক্রমণ বাড়ছে। সূত্রের খবর, চোখের সংক্রমণ নিয়ে দিল্লি এইমসে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছেন শতাধিক মানুষ। গোটা দেশে চোখের অসুখে আক্রান্ত হাজারের বেশি। কনজাংটিভাইটিস থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসরা অবশ্য জানিয়েছেন, এই রোগ সংক্রামক। গত তিন বছরে করোনা পরিস্থিতির জেরে দূরত্ববিধি থাকায় এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কম ছিল। দূরত্ববিধি কমায় এই রোগ বেশি ছড়িয়েছে। শিশুদের মধ্যে চোখে-মুখে হাত দেওয়ার প্রবণতা বেশি। ফলে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, নয়ডা, গুজরাট, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপ বেড়েছে।
কনজাংটিভাইটিস লক্ষণ হল, চোখ লাল হয়ে ফুলে যাওয়া, চোখ জ্বালা করা, চোখ দিয়ে জল পড়া, চোখে সব সময় অস্বস্তি ভাব, ডিসচার্জ বেশি হলে দৃষ্টিও কিছুটা কমতে পারে। কিছু কিছু কনজাংটিভাইটিস যেমন ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসে চোখে এতটাই ডিসচার্জ থাকে যে, ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাতা জুড়ে যেতে পারে। চোখে সামান্য ব্যথাও হতে পারে, আলোর দিকে তাকালে সমস্যা হতে পারে। উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় বিশেষ করে বর্ষার সময় প্রতি বছর জীবাণুদের অতি সক্রিয়তার কারণে চোখের সংক্রমণের প্রবণতা বাড়ে। কারও কনজাংটিভাইটিস হলে আলাদা গামছা বা তোয়ালে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া চোখে হাত দিলে জামা কাপড়ে না মুছে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেওয়া, পরিষ্কার ঠান্ডা জলে দিনে তিন থেকে চার বার চোখ ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।