নাগরাকাটা: তিজ উৎসবে চা বাগান সহ সরকারি অফিসগুলিতে ছুটির দাবি উঠে এল ডুয়ার্সের মহিলাদের তরফে। সোমবার বানারহাট লাগোয়া ডায়না নদীর ঘাট, লুকসানের নির্মীয়মাণ পশুপতিনাথ মন্দির প্রাঙ্গণ সহ আরও নানা স্থানে এই উৎসব পালিত হয়। নানা স্থান থেকে বহু মহিলা এতে অংশ নেন। স্বামীর মঙ্গলকামনায় মহিলারা শিব আরাধনায় মেতে ওঠেন। এটাই তিজ বা হরিতালিকা তিজ নামে পরিচিত। মূলত বাড়ি বাড়ি এই উৎসব পালনের রেওয়াজ থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে ডুয়ার্সে সর্বজনীনভাবে এই লোকাচারটি পালিত হচ্ছে। এবারও এর কোনও অন্যথা হয়নি।
বানারহাটের গ্যান্দ্রাপাড়া চা বাগান থেকে ডায়নার তিজে যোগ দিতে আসা পূর্ণিমা ছেত্রী নামে এক মহিলা বলেন, ‘বিশেষ করে চা বাগানে তিজ উপলক্ষ্যে ছুটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বহু মহিলা শ্রমিক ছুটি না পাওয়ার কারণে এতে অংশ নিতে পারেন না।’ নাগরাকাটার কলাবাড়ি চা বাগানের গীতা ছেত্রী নামে আরেক মহিলার কথায়, ‘করমপুজো, ছটপুজো, বুদ্ধ পূর্ণিমার মতো নানা উৎসবে চা বাগান এবং সরকারি অফিসগুলিতে ছুটি দেওয়া হচ্ছে। এতে সবার ভালো হয়েছে। একইভাবে তিজেও যদি ছুটি দেওয়া হয় তবে প্রত্যেকেই এতে অংশ নিতে পারবেন।’
লুকসানের তিজ উৎসব কমিটির সভাপতি রাধা পৌডেল বলেন, ‘স্বামীর মঙ্গলকামনায় দু’দিন নির্জলা উপবাস থেকে এই ব্রত পালন করতে হয়। যে কারণে কর্মরত মহিলাদের জন্য সবেতন ছুটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’ ওই কমিটির সম্পাদক অঞ্জলি ছেত্রী বলেন, ‘তিজের সঙ্গে নিজেদের সংস্কৃতিও অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। পরম্পরাগত লোকাচারকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই সম্মিলিতভাবে এই উৎসব পালন করা হচ্ছে।’