চাঁদকুমার বড়াল, কোচবিহার: গ্রেটার কোচবিহার (Coochbehar) এলাকা নিয়ে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবিতে আন্দোলনে নামছে ক্ষত্রিয় রাজপুতানা অর্গানাইজেশন। ৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে এই কর্মসূচি রয়েছে সংগঠনের। আর তাতে বিজেপি সাংসদ নগেন রায়ের গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের কয়েক হাজার কর্মী উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্রের খবর। রাজনৈতিক মহলের মতে, নগেন বিজেপি সাংসদ হওয়ার পর তাঁর সংগঠনের মূল দাবি অর্থাৎ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিষয়টি প্রায় ধামাচাপা পড়েছে। তাই অন্য সংগঠনের ব্যানারে কর্মীদের পাঠিয়ে ঘুরপথে বিষয়টিকে ফের তুলে ধরতে চাইছেন নগেন। যে সংগঠন আন্দোলন করবে তারা আবার লোকসভা নির্বাচনের আগেই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার দাবি তুলছে।
এ নিয়ে বিজেপি সাংসদ নগেন রায় বলেছেন, সেখানে সাত থেকে দশ হাজার সদস্য যাবেন। ক্ষত্রিয়দের আন্দোলনে তাঁরা থাকবেন। কারণ তাঁরাও ক্ষত্রিয়। সারা দেশেই তো ক্ষত্রিয়রা আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিষয়টি সমর্থন করেছেন।
দিল্লির যন্তরমন্তরে ৪ ফেব্রুয়ারি বড় জমায়েত করবে ক্ষত্রিয় রাজপুতানা অর্গানাইজেশন। সেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্ষত্রিয় সমাজের লোকজন উপস্থিত থাকবেন। নিম্ন অসম থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গজুড়ে থাকা নগেন রায়ের গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের কয়েক হাজার কর্মী ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে ট্রেনে চেপে দিল্লি যাবেন। তাঁরা ১ তারিখ বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রেনে উঠবেন।
এখন প্রশ্ন, আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবিকে সামনে রেখে নতুন এই সংগঠন কবে তৈরি হল? এই সংগঠন আবার গ্রেটার কোচবিহার এলাকা নিয়ে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবিকে সামনে রেখেই জমায়েত করবে। দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকে গণস্বাক্ষর সংবলিত স্মারকলিপিও দেবে। আর তাতে নগেনের সংগঠনের কর্মীরা বেশি মাত্রায় উপস্থিত থাকবেন। তাহলে কি বিজেপি সাংসদ হওয়ার পর তিনি তাঁর মূল দাবিতে আন্দোলন করতে পারছেন না? বা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি এখন কিছু বলা যাচ্ছে না বলেই কি তিনি সংগঠন ও কর্মীদের ধরে রাখতে সেখানে পাঠাচ্ছেন? এই সমস্ত প্রশ্ন উঠছে। এ প্রসঙ্গে নগেনের সাফাই, ক্ষত্রিয়দের আন্দোলনে ক্ষত্রিয়রা যাবেন, এটাই তো স্বাভাবিক।
ক্ষত্রিয় রাজপুতানা অর্গানাইজেশনের সম্পাদক মহেশ কুমারের বক্তব্য, দুই বছর আগে তাঁদের সংগঠন তৈরি হয়েছে। তাঁরা ক্ষত্রিয় সমাজের দাবি নিয়ে আন্দোলন করবেন। সেখানে গোটা দেশ থেকে লোকজন আসবেন। তবে কোচবিহার নিয়ে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরিই মূল দাবি বলে জানান মহেশ।