সামসী: হাজারও প্রতিশ্রুতির পরেও পাকা সেতু নির্মিত হয়নি। নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো মহানন্দা নদী পারাপারে আজও ভরসা। মালতীপুর বিধানসভা এলাকা তথা রতুয়া-২ ব্লকের মহারাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহানন্দা নদীর ওপর এলাহাবাদ ঘাটে (এলাহাবাদ-আলিনগর) সংযোগ স্থাপনকারী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু প্রশাসন জেনে শুনেও নীরব। এনিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
এলাহাবাদ ঘাটে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য গত বিধানসভা ভোটের সময় এলাকার চিকনি, এলাহাবাদ, রাধানগর তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা জোটবদ্ধভাবে একেবারে ‘এআরসি জাগরণ মঞ্চ’ নামক একটি অরাজনৈতিক সংগঠন তৈরি করে আন্দোলন করেছিলেন। ভোট বয়কটেরও হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেশ প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে ভোট বয়কট থেকে সরে যান এআরসি জাগরণ মঞ্চ’। এদিকে গত পঞ্চায়েত ভোটের মুখেও এলাহাবাদ ঘাটে সেতু নির্মাণের দাবিতে সরব হয়েছিলেন এলাকার মানুষ। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুই তরফেই পাকা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজও সেতু নির্মাণের কোনও নাম নেই।
এলাকার অরাজনৈতিক সংগঠন এআরসি জাগরণ মঞ্চের কর্ণধার মহম্মদ মামুন জানিয়েছেন, ওই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। নদীর পশ্চিম পাড়ের রতুয়া-২ ব্লকের মহারাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাহাবাদ, রাধানগর চিকনি, রাজাপুর, মহারাজপুর প্রভৃতি গ্রামের মানুষ ও নদীর পূর্ব পাড়ের গাজোল ব্লকের বৈরগাছি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিনগর, কয়লাবাদ, বালুয়াটোলা, চন্ডীতলা, রাইসাদিঘি প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দারা নিত্য প্রয়োজনে নদী পারাপার করেন। কিন্তু নদী পারাপারে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই ভরসা। যা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তা যেকোনও সময় ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটতে পারে। সুখা মরশুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে কোনওরকম যাতায়াত হলেও বর্ষাকালে ঘাটে ছোট্ট একটি ডিঙি নৌকা ভরসা। যা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার ফলে নৌকা ডুবির আশঙ্কাও থাকছে সর্বক্ষণ।
মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বকশি এলাহাবাদ ঘাটে মহানন্দা নদীর উপর সেতু নির্মাণের জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদে প্রস্তাব পাঠানোর পাশাপাশি বিষয়টি বিধানসভায় উত্থাপনের আশ্বাস দিয়েছেন।